নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ ৫ প্রস্তাবনা

জবি শিক্ষক সমিতি

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  জবি প্রতিনিধি:

একটি বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল জাতি বিনির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণায় দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষাখাতের উন্নতি ও প্রবৃদ্ধির জন্য তারা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাও পেশ করেছেন।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এসব প্রস্তাবনা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি-২০২৩ এর আহবায়ক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাককে পাঠানো হয়েছে।

প্রস্তাবনায় শিক্ষক নেতারা উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘শিক্ষা প্রদানের জন্য জাপানের সম্রাট মেইজির মত আমাদেরকেও আজকের প্রয়োজন মেটাতে বিদেশ থেকে শিক্ষক নিয়ে আসতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই এই কথা বলেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশি-বিদেশি শিক্ষক থাকবে, আন্তর্জাতিক কোলেবরেশনে কাজ হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য ইশতেহারে কিছু নির্দেশনা থাকা দরকার বলে আমরা মনে করি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রস্তাবনাগুলো হলো -
১. শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও আনুপাতিক হারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নে শিক্ষায় বরাদ্দ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে একটি বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল জাতি বিনির্মাণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী জাতীয় বাজেটের ২০% এবং জিডিপির ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা দরকার। এই ব্যাপারে ইশেতহারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা থাকলে দেশবাসীসহ দেশের সর্ব পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি আশাবাদী হবেন।

২. উচ্চশিক্ষার মানকে বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে বর্তমান 'বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন'কে 'উচ্চশিক্ষা কমিশনে' রূপান্তর করা।
৩. দেশের সকল পর্যায়ের প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করে যোগ্য দক্ষ ও অধিকতর মেধাবীদের শিক্ষাকতা পেশায় আকৃষ্ট করার প্রতিশ্রুতি থাকা।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত গবেষণা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোস্ট-ডাক পজিশন, আর.এ., টি.এ. পজিশন চালু করা। এজন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করা।
৫ .বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্মত আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত বিশ্বের মত চাহিদা অনুযায়ী ঋণ সুবিধা প্রদানের বিষয়টি ইশতেহারে থাকা জরুরি, যাতে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই সুবিধার আওতায় একটি মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে।

এবিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেশি-বিদেশি শিক্ষক প্রয়োজন। আর এজন্য প্রয়োজন শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের বাজেট আরও বৃদ্ধি করা। আমরা শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি যেন তা নির্বাচনী ইশতেহারে থাকে।

জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাক্ষেত্রে বড় একটি বাজেট দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যেন শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে সেজন্যই আমরা বেশ কিছু প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।


আমার বার্তা/জেএইচ