শাবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতাদের রুম থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শাহজালাল  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল দখলে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের রুম থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র (পিস্তল, রিভলবার, রামদা ও চাকু ইত্যাদি), গাজা ও মদের খালি বোতল উদ্ধার করেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। অছাত্র, বহিরাগত ও অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলে আবাসন নিশ্চিত করতে এ অভিযান চালান আন্দোলনকারীরা।

অভিযান চালানোর পর হল প্রশাসন বরাবর লিখিত স্টেটমেন্টে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা শাহপরাণ হলের ছাত্রলীগের দখলকৃত রুমগুলো তল্লাশি চালিয়ে ১টি রিভলবার, ১টি শর্টগান, বিপুলসংখ্যক দেশীয় অস্ত্র ও ১০০টিরও অধিক মদের বোতল উদ্ধার করেছি। হলের ২১০, ২১১, ২১৪, ৪২৩, ৪২৪ ও ৪২৯ নম্বর কক্ষসহ আরো কয়েকটি কক্ষ থেকে এসব উদ্ধার করেন বলে জানান অভিযানকারী শিক্ষার্থীরা।

অভিযানের পর সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের সহযোগিতায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব অবৈধ সরঞ্জাম উদ্ধার করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খতিয়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে হবে। এসব অস্ত্র ও মাদক আনয়নকারীদের আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধ এবং হলে রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শাহপরাণ হল প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি কৌশিক সাহা বলেন, শিক্ষার্থীরা হল থেকে এসব অবৈধ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। কে বা কারা এইসব হলে নিয়ে এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা তদন্ত সাপেক্ষে বের করে নেবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

এদিকে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬টি বিষয় নিয়ে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামায় হলের প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর নেন শিক্ষার্থীরা।

অঙ্গীকারনামায় বলা হয়, আজ থেকে সকল ছাত্ররাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, জামাত, শিবির) নিষিদ্ধ করতে হবে। হলে যেকোনো ধরনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের হল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এবং স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।

এছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয় শিক্ষার্থীরা অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করেন। এতে স্বাক্ষর করেন শাহপরাণ হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি কৌশিক সাহা।


আমার বার্তা/জেএইচ