আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের মুক্ত সংলাপ বর্জন চবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  চবি প্রতিবেদক:

'কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা চাই, কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই?’—শিরোনামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের কর্তৃক আয়োজিত 'মুক্ত সংলাপ' বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টায় চট্টগ্রামের কাজীর দেউরীতে মুক্ত সংলাপটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন না।

মুক্ত সংলাপে অতিথি হিসেবে থাকা তিনজনই আওয়ামীপন্থি পরিচিত মুখ। ইস্ট ডেল্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দর, চবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুলের ইসলাম এবং আওয়ামী আমলে একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আবুল মোমেন।

এর মধ্যে ড. মইনুলের ইসলাম সম্পর্কে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। যেখানে শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধ্যাপক মঈনুল চবির আওয়ামীপন্থি হলুদ দলের আহ্বায়ক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কট্টর আওয়ামীপন্থি শিক্ষক হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। আওয়ামীপন্থি শিক্ষক হিসেবে হয়েছেন ইউজিসির অধ্যাপকও। এখনো তিনি আওয়ামী মনোনীত সিলেকশন বোর্ডের সদস্য। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের নিয়োগকৃত বিআইবিএমের ডিরেক্টর জেনারেলও ছিলেন। এ ছাড়া হলুদ দলের হয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছিলেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে—এ নিয়ে একটা মুক্ত সংলাপের আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগের দালালেরা। আমরাও চাই, মুক্ত সংলাপ হোক। বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হবে, শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে, আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে—এ নিয়ে সেমিনার হোক এবং সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ থাকুক। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আওয়ামী লীগের দোসর শিক্ষক নগরীর কাজির দেউড়িতে একটা মুক্ত সংলাপের আয়োজন করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমরা স্বাধীনভাবে আমাদের মতামত ও চিন্তাধারা প্রকাশ করতে পারছি এবং আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে সেসব নিয়ে আলোচনা করতে পারছি। যারা এ আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে ছিল ও নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে না জানিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে এরকম সংলাপ আশা করতে পারি না। এটা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মইনুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগের হলুদ দলের আহ্বায়ক ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারি ছিলেন এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত বিআইবিডিএমের ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন। এখন পর্যন্ত আওয়ামী মনোনীত সিলেকশন বোর্ডের সদস্য আছেন, আওয়ামী মনোনীত ইউজিসি অধ্যাপক।


আমার বার্তা/এমই