দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল না ছাড়ার ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫, ১৮:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কাকরাইল এলাকায় যমুনা অভিমুখী সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সড়কে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বলেন, আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার বিচার করতে হবে।
এদিকে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছাত্র-শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৮ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহতরা হলেন- রেদোওয়ান (২৪), আসিফ (২০), রহমান (২২), আকিব (২১), আরিফ (২২), রফিক (২৫), শফিক (২৫), ওমর ফারুক (২৪), অর্থিব (২১), আপেল (২১), মুজাহিদ (২৩), রায়হান (২৩), ফারুক (২৩), আবু বক্কর (২২), নিউটন (২০), হানিফ (২২), জীবন (২২), শহীদ (২০), রাসেল (২২), জিসান (২২), শহীদ (২৪), রাসেল (২৩), গৌরব (২৫), আব্দুল মান্নান (২২), নাহিদ (২৩), জুয়েল (২৩), মোহন (২২), সোহানুর রহমান সানি (২৪), মাছুমা (২০), সংগ্রাম (২০), বাইতুল (২২), রাজু (২২), সুমন (২২), রাজীব (২২), আকাশ (২২), বাংলা ট্রিবিউনের জবি প্রতিবেদক ও জবি প্রেস ক্লাব সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ, ঢাকা পোস্টের জবি প্রতিবেদক ও জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব লিমন (২৩), দৈনিক সংবাদের জবি প্রতিনিধি মেহেদী হাসান (২৪)।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলাল, সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকি আহত হয়েছেন।
পুলিশের হামলায় আহত জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, সরকারের এই কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের বিচার করতে হবে।
এর আগে, সকাল ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চ শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা। লং মার্চে লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরা— ‘জেগেছে রে জেগেছে, জবিয়ান জেগেছে’, ‘আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের মোড়ে আসতেই পুলিশ হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
>> আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি
আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমার বার্তা/এমই