যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত রাবি শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৫:১০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রভাস কুমার কর্মকারের সর্বোচ্চ শাস্তি বহিষ্কার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করেন তারা। নির্যাতনকারীরা যেন কোনোভাবেই প্রাতিষ্ঠানিক বা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দৃঢ় ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা, শারীরিক ও মানসিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, নির্যাতনকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, বিভাগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে বিচারসহ ১১ দফা দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

পরে বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিসা নাওয়াল নেহা বলেন, নারী শিক্ষার্থীরা যদি বিভাগের শিক্ষকের কাছে নিরাপদ না থাকে তাহলে সে আর কোথায় নিরাপদ থাকবে? আমরা যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষকের বহিষ্কার চাই, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে।

বিক্ষোভ সমাবেশে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন বলেন, আমরা এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছিলাম যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের মতো নিরাপদে থাকতে পারবে। যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আজ আমরা এখানে এসেছি। আমরা যখন রাজপথে দাঁড়িয়েছি তখন দাবি আদায় না করে রাজপথ ছেড়ে যাবো না। ওই শিক্ষকের শাস্তি হলে অন্যরা সাবধান হবে বলে আশা করি।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. পাপিয়া সুলতানা বলেন, আজ আমি শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। এ ঘটনা আমাদের শিক্ষক সমাজের জন্য কাম্য নয়। আমার শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছে। আমিও একজন নারী শিক্ষিকা, তারও আগে আমি একজন মা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও যেকোনো যৌক্তিক বিষয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবেন বলে তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং কমিটি আছে। এই বিষয়টা আমাদের কাছে অভিযোগ আসায় তাৎক্ষণিকভাবে আমরা একটি কমিটি গঠন করি। সেই কমিটি তদন্ত করে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে এই শিক্ষক সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট এবং অ্যাকাডেমিক ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত। অনতিবিলম্বে আমরা তার সর্বস্ব শাস্তি কামনা করছি।

আমার বার্তা/এল/এমই