নিজস্ব অর্থায়নে দূরপাল্লার বাসের ব্যবস্থা করেছে জবি শাখা
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রী হল আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৬টি বাস সার্ভিস দেয়। তবে সেই বাসে জায়গা হয়নি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর। এছাড়া অনেক বাস ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা যায়, প্রতিটি বাসের প্রবেশমুখে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সারি। প্রত্যেকটি বাসে আসনের তুলনায় বেশি শিক্ষার্থী যাত্রা করায় বহু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এসে বাসে উঠতে পারেনি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও বাসে সিট না পেয়ে ফিরে যায় অসংখ্য শিক্ষার্থী। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থীকে ভার্সিটির বাসে জায়গা না পেয়ে নিজস্ব খরচে বাসের টিকিট কেটে বাড়ি যেতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতে ৭টি বিভাগে ১৬টি বাস বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাসগুলো রংপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন রুটে যাবে।
বাস না পাওয়া পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন সুলতান বলেন, আমার বাড়ি রাজশাহী। আমাদের বিভাগীয় শহরের জন্য ২টি বাস (পদ্মা ও উত্তরণ-২) বরাদ্দ ছিল। আমাদের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী যেতে পারেনি। বাসের সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে মেয়েদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সবাই যেহেতু আশা নিয়ে এসেছে, কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর বাসে জায়গা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও কিছু বাস বরাদ্দ দিলে ভালো হত।
নতুন বাস বরাদ্দে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে পরিবহন পরিচালক ড. তারেক বিন আতিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সরাসরি নাকচ করে দেন তিনি। বলেন, বিভিন্ন রুটে মোট ১৬টি বাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর কোনো বাস দেওয়ার সক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই। বাড়ি যেতে ইচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবই আমাদের প্রচেষ্টা ছিল।
এদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়ি পৌঁছে দিতে নিজস্ব অর্থায়নে দূরপাল্লার বাসের ব্যবস্থা করেছে জবি শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জন্য ২টি বাস বরাদ্দের ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ৭টি বিভাগীয় শহরে ৭টি বাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি ও জকসু ভিপি প্রার্থী মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যেতে পারছে না এবং অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বাসগুলো যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছে এসব বিবেচনায় আমরা বিভাগীয় শহরগুলোতে যাওয়ার জন্য বাস ম্যানেজ করেছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার পরও তারা আমাদের বাস সার্ভিসের অনুমতি দেয়নি।
এ বিষয়ে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, বাস দেওয়ার জন্য আমরা অনুমতি দেব না। একটি রাজনৈতিক সংগঠন, যারা জকসু নির্বাচনে প্যানেল দিয়েছে তাদের এমন উদ্যোগ আমরা অ্যালাও করতে পারি না।
আমার বার্তা/এল/এমই
