৪০তম বিসিএস থেকে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক হলেন ২০৮ জন

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় কর্তৃক ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন, এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে ২০৮ জনকে নন-ক্যাডার পদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের জন্য সুপারিশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণবিহীন) নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণি হিসেবে ১২তম গ্রেডে ১১,৩০০ থেকে ২৭,৩০০ টাকা বেতন স্কেলে উল্লিখিত উপজেলা/থানাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, চাকরিতে যোগদানের পর দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। শিক্ষানবিশকালে অযোগ্য বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাঁদের চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে। শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনক বিবেচিত হলে বিধি মোতাবেক চাকরিতে স্থায়ী করা হবে।

চাকরিতে তাঁদের জ্যেষ্ঠতা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় কর্তৃক সুপারিশকৃত মেধাতালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হলে অথবা বিয়ের অঙ্গীকারবদ্ধ হলে এ নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে। সরকারের প্রচলিত বিধিবিধান, আদেশ এবং সরকার কর্তৃক ভবিষ্যতে প্রণীতব্য বিধি বিধান/আদেশ দ্বারা তাঁর চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে। এই চাকরিতে যোগদানের জন্য তিনি কোনো ভ্রমণ ভাতা/দৈনিক ভাতা প্রাপ্য হবেন না।

প্রশিক্ষণবিহীন প্রার্থীদের নিয়োগ আদেশ প্রাপ্তির পরবর্তী চার বছরের মধ্যে ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ (বিটিপিটি)’ প্রশিক্ষণ নিতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা কর্তৃক সরবরাহকৃত যেকোনো তথ্য ও সনদপত্র মিথ্যা/ভুয়া/ত্রুটিপূর্ণ হলে নিয়োগ আদেশ বাতিল করা যাবে এবং প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী তাঁর/তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না, করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় নিয়োগ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রত্যেক প্রার্থী সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করবেন। উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার যোগদানপত্র গ্রহণ করে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করবেন। বর্ণিত প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করে তিনি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে যোগদান করবেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর যোগদানের তারিখই শিক্ষকের চাকরিতে যোগদানের তারিখ হিসেবে গণ্য হবে।

সুপারিশপ্রাপ্ত ২০৮ জনের তালিকা ও এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে দেখা যাবে।