এইচএসসি পরীক্ষা দেয় হলো না হেনার

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর পূর্ব রামপুরা  বাসা থেকে নুরজাহান হেনা (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার তার এইচএসসি পরীক্ষা দেবার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শনিবার (২৯ জুন) রাত পৌনে এগারোটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে নুরজাহান হেনা  ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বায়েক পাড়া গ্রামের হেবজু মিয়ার মেয়ে।
বর্তমানে স্বামীর সাথে পূর্ব রামপুরার বাসায় ভাড়া থাকতেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামপুরা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ হাবিজ উদ্দিন। তিনি জানান, গতকাল রাতের দিকে খবর পেয়ে ৮৮ নং পূর্ব রামপুরা হাইস্কুল গলির বাসা থেকে নুরজাহান হেনা নামে এক নারীর সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অচেতন দেহটি উদ্ধার করি। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক
মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পারি রামপুরা ওই বাসায় স্বামী জাহাঙ্গীর আলম শাওনের সঙ্গে থাকতেন হেনা। স্বামী শাওন একটি ফার্মেসিতে চাকরি করেন। কাজ শেষে গত রাতে বাসায়  খেতে আসেন শাওন। বাসায় এসে দেখেন, স্ত্রী হেনা সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছিলেন। পরে থানায় খবর দেন তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তা মো. হাবিজ উদ্দিন আরও জানান, দেড় বছর আগে বিয়ে হয় শাওন ও হেনা দম্পতির। বিয়ের পর থেকে পূর্ব রামপুরা হাইস্কুল গলির ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকেন। হেনার বাবা হেবজু মিয়া রামপুরা এলাকাতেই থাকেন। হেনা মধ্য বাড্ডার একটি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। সেজন্য তার বাবার কাছ থেকে ফর্ম পূরণের কথা বলে টাকাও নিয়েছিলো। তবে সেটি সে করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, রোববার হতে চলা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না ভেবে হেনা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে হেনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই হাবিজ উদ্দিন।


আমার বার্তা/এম রানা/জেএইচ