সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে বিটিভি ভবনে জ্বলছে আগুন

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৯:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) গেটে আগুন দিয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা টেলিভিশন ভবনের ক্যান্টিন, রিসিপশন ও একটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। সাড়ে ৩ ঘণ্টা পেরিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়ও সেখানে আগুন জ্বলছে। বিটিভির মূল ভবনেও আগুন জ্বলছে। বাইর থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া উড়তেও দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে, যে কারণে ফায়ার সার্ভিস বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সেদিকে যেতে পারছে না।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে র‌্যাবের একটি গাড়ি বিটিভি ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেও সামনে এগুতে পারেনি। তারা বেশ কিছু টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পেছনে হটেননি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে র‌্যাবের গাড়িই পেছনে সরে যায়।

সবশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিটিভি ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর ভবনের দিকে আগুন থাকায় ভেতরে আটকে পড়া বিটিভির কর্মীরাও বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন।

এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ মধ্যে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা, রামপুরা, ও বনশ্রী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারী ব্যাপক সংঘর্ষ চলছিল।  এ ঘটনায় শিক্ষার্থী-পুলিশসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এখন যদিও কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। তবে পুরো বাড্ডা রামপুরা মালিবাগ সড়ক দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। যে কারণে এই সড়কে সকল ধরণের যানবাহন চলাচল বর্তমানে বন্ধ আছে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বক্তব্যকে ঘিরে গত রোববার মধ্যরাত থেকে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ছাত্রসমাজ। এরপর সোম, মঙ্গল ও বুধবার টানা তিনদিন সারা দেশে ছাত্র আন্দোলন জোরালো হয়ে ওঠে। আন্দোলন দমাতে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগও মাঠে নামে। এতে সোমবার ও মঙ্গলবার সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার একদিনেই ৩ শিক্ষার্থীসহ ৬ জন মারা যান। এদের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদকে পুলিশ নিরস্ত্র অবস্থায় সামনাসামনি গুলি করে হত্যা করে। এসব হত্যার ঘটনায় গতকাল বুধবারও আন্দোলন-সংগ্রামে উত্তাল ছিল রাজপথ। গতকাল সন্ধ্যায় এ নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই ভাষণেও সমস্যার কোনো ‘সমাধান’ দেওয়া হয়নি দাবি করে এবং প্রতিটি হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনকারীরা আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।


আমার বার্তা/এমই