সীতাকুণ্ডে শিপ ইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ৫

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীর আলম (৪৮ ) ও বরকতুল্লাহ (২৩)নামে আরও দুইজন মারা গেছেন। তারা দুজনেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হলো।

শনিবার(১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।

জাহাঙ্গীর ফরিদপুরের কাভ খালি থানার বেতকা গ্রামের আবেদ আলী হাওলাদার এর এবং অপরদিকে বরকতুল্লাহ চট্টগ্রামের পটিয়া থানার আলমগীর সওদাগর গ্রামের মোহাম্মদ আইয়ুব আলীর ছেলে। বর্তমানে তারা দুজনেই ওই শিপ ইয়ার্ড এলাকাতেই থাকতেন।

তারা উভয়েই পুরাতন জাহাজ ভাঙার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটের হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম তাদের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার ভোরের দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ও বরকতুল্লাহ ৬০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।আমাদের হাসপাতালে আবুল কাশেম (৩৯),  আনোয়ার হোসেন (৪৫),ও আল-আমিন (২৩)‌ নামে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

উল্লেখ্য গত ৭ই সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির তেঁতুলতলা এলাকার একটি শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণে ১০/১২ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় আট জনকে বার্ন  ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হলে পথিমধ্যেই ৯০% দগ্ধ নিয়ে আহমাদুল্লাহ মারা যান। পরে গত রবিবার ৮০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে খাইরুল এবং সোমবার হাবিব ৪৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জাহাঙ্গীর ও বরকতুল্লার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান মরদেহ দুটি বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।



আমার বার্তা/এম রানা/জেএইচ