ঢামেকে গাইনী ওয়ার্ড থেকে নারী আটক, উদ্ধার হলো ৩ টি মোবাইল

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ড থেকে মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় মোছাঃ সীমা বেগম (২৫) নামে মোবাইল চোর চক্রের এক নারী সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১০টা নাগাদ ঢামেকের  ২১২ নং  গাইনী ওয়ার্ড থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা ওই নারীকে আটক করে।

কেরানীগঞ্জ থেকে আসা ভুক্তভোগী মনির হোসেন জানান, আমার স্ত্রীর প্রসূতি ব্যথা উঠলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তখন আমার স্ত্রীকে নিয়ে দৌড়ঝাপ পড়ার সময় আমার রেডমি9A, রেডমিA3 মডেলের মোবাইল দুইটি রোগীর বেড থেকে চুরি হয়ে যায়।  এই মোবাইল দুটি ছিল আমার ওই মুহূর্তের একমাত্র সম্বল। কেননা মোবাইলের বিকাশেই আমার টাকা পয়সা ও আত্মীয়-স্বজনের অনেক নাম্বার ছিল। পরে বিষয়টি হাসপাতালের আনসারের পিসি মিজানুর রহমানকে জানাই।

আরেক ভুক্তভোগী রাফি জানান, আমার স্ত্রীর ডেলিভারি ডেট থাকায় ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাকে। এ সময় রোগীর বেডের পাশে চার্জে দিয়ে রাখা ইনফিনিক্স - Smart7 মডেলের একটি মোবাইল ও হ্যান্ড ব্যাগটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে আমিও বিষয়টি আনসার সদস্যদের জানাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের আনসার সদস্যদের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানুর রহমান বলেন,
রোগীর স্বজনদের অসচেতনতায় ঢাকা মেডিকেল থেকে প্রতিনিয়ত মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে। এরকমই দুটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার আনসার সদস্যরা ২১২ নং ওয়ার্ডে সাঁড়াশি তল্লাশি চালায়। এ সময় সন্দেহভাজন ওই নারীকে আটক করা হয়। পরে তাকে তল্লাশি করে তার কাছে থাকা তিনটি মোবাইল ও নগদ ১৬৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই নারী চোরকে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল তিনটি ও নগদ টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরো জানান,এখানে সারাদেশ থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হাজার হাজার রোগী প্রতিদিন এখানে আসে। এখানে কে রোগীর লোক আর কে এখানে চোর সেটা বোঝা বড় মুশকিল। হাসপাতাল থেকে ভর্তির রোগীদের সাথে একজন করে অ্যাটেনডেন্স পাশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়ার্ডে গেলে এক রোগীর সাথে অনেক লোক থাকে আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে পারি না যে তিনি আপনার লোক কিনা। তবে আমরা সব সময় চেষ্টা করি এখানে যারা চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন তারা যেন কোন ভোগান্তি স্বীকার না হন।

পিসি আরো বলেন, আমরা আমাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাসপাতালে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু এখানে রোগীদেরও সচেতনের একটি বিষয় আছে যাতে কে তার অপরিচিত পাশে এসে বসলো বা সন্দেহ হলে আমাদেরকে জানানো।

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক বলেন, গতরাতে অভিযুক্ত মোবাইল চোরচক্রের ওই নারী সদস্যকে আমাদের ক্যাম্পে দেয়া হয়েছে।

আমরা বিষয়টি শাহবাগ থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারাই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।


আমার বার্তা/এম রানা/জেএইচ