ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে মশা মারার অভিযান শুরু করল ডিএনসিসি

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৬:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী ডেঙ্গু আক্রান্তের জন্য চিহ্নিত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডসমূহে “অপারেশন ক্লিন টুডে: সেফ টুমোরো” শীর্ষক বিশেষ সমন্বিত মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

বুধবার (০২ জুলাই) মিরপুর-১ পাইকপাড়া সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্টাফ কোয়ার্টারে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সবার সচেতনতায়, সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। একই সঙ্গে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এডিস মশার উৎপত্তি স্থলের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে,  যেন তারা তাদের বাসাবাড়ির আশেপাশে পরিত্যক্ত পাত্রে পানি জমে থাকতে না দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের জুনের প্রতিবেদনে ওয়ার্ড নং ২, ৮, ১২, ১৩, ২২ ও ৩৪-এ এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব বেশি পাওয়ায় এসব এলাকাকে ডেঙ্গু আক্রান্তের জন্য উচ্চঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৬টি ওয়ার্ডে মশার লার্ভার ঘনত্ব বেশি পাওয়া গেছে। সেইসব ওয়ার্ডগুলোতে সমন্বিত ভাবে লার্ভা ও উড়ন্ত মশা নিধনে আজ থেকে একযোগে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি, সিডিসি ও ডিএনসিসির কীটতত্ত্ববিদ, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমন্বয়ে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।

অভিযানের আওতায় এডিস মশার প্রজননস্থল অপসারণ, লার্ভিসাইডিং ও ফগিং, জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদান এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান শেষে সিডিসি ও ডিএনসিসির কীটতত্ত্ববিদদের তত্ত্বাবধানে ‘কর্মসূচী পরবর্তী কীটতাত্ত্বিক জরিপ’ পরিচালনা করা হবে, যেন কার্যক্রমের ফলাফল পর্যালোচনা ও পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।


আমার বার্তা/এমই