বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে পিলারের ভেতরে আগুন

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ

  মোঃ আবু সাঈদ

রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পশ্চিম গেটের একটি পিলারের ভেতরের খুটিতে হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তবে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত উপস্থিতি ও দক্ষ তৎপরতায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় কোনো ব্যক্তি আহত হননি এবং বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতিও ঘটেনি বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যার দিকে, যখন মসজিদের দক্ষিণ গেটে স্বাভাবিকভাবেই মুসল্লিদের চলাচল চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে পিলারের ভেতরের বৈদ্যুতিক খুটির দিক থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা দিলে মসজিদে থাকা মুসল্লি ও আশপাশের মানুষজন দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যান। খবর পেয়ে মসজিদের নিরাপত্তা কর্মীরা তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালালেও আগুন বাড়তে থাকায় তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, পিলারের ভেতরে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুটিতে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন মসজিদের মূল কাঠামোতে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আরও জানান, আগুন লাগার পর দ্রুত পানি ছিটানোর পাশাপাশি বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব পদক্ষেপের কারণে আগুন আর ছড়াতে পারেনি। তবে সতর্কতার অংশ হিসেবে পুরো পিলার এলাকা কিছুক্ষণ কর্ডন করে রাখা হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদরা বৈদ্যুতিক লাইনগুলো পরীক্ষা করে দেখেন।

মসজিদের প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন ও সরঞ্জামগুলো পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে সে লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।

স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপকে প্রশংসা জানিয়েছেন। তাদের মতে, দ্রুত সাড়া না পেলে এ ঘটনা বড় ধরনের বিপর্যয়ের রূপ নিতে পারত। বায়তুল মোকাররম এলাকা প্রতিদিন হাজারো মানুষের চলাচলে ব্যস্ত থাকে, ফলে যেকোনো ছোট ঘটনা বড় হুমকিতে পরিণত হতে পারে।

যদিও ঘটনাটি ছোট পরিসরে সীমাবদ্ধ ছিল, তবুও নিরাপত্তা ও জনসচেতনতার গুরুত্ব নতুন করে সামনে এনেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসমাগমপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিয়মিত বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি

সৌভাগ্যবশত, বায়তুল মোকাররমের এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি বা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় সবাই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে একটি সম্ভাব্য বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে- এটাই এই ঘটনার সবচেয়ে বড় সফলতা।