বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের পাশে দোকানদার-কাস্টমার সংঘর্ষে উত্তেজনা
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটের পশ্চিম পাশের ফুটপাথ- যেখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। ঠিক সেই জায়গাটিই শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে হঠাৎ করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ফুটপাথের একটি দোকানে পণ্য কেনাকে কেন্দ্র করে দোকানদার ও এক কাস্টমারের মধ্যে মৌখিক বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। মুহূর্তেই পরিস্থিতি তর্ক-বিতর্ক থেকে মারামারিতে রূপ নেয়।
চোখের সামনে ঘটনার দ্রুত পরিবর্তনে উপস্থিত পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফুটপাথের আশপাশের আরও কয়েকজন দোকানদার ঘটনাটিতে জড়ানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কাস্টমারটি একটি পণ্য কেনার সময় দাম নিয়ে আপত্তি তোলায় দোকানদারের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। কেউ কারো কথার প্রতি সহনশীলতা না দেখানোর এক পর্যায়ে দু’পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়তেই অনেকেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে খবর পেয়ে পল্টন থানা পুলিশের একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পুলিশ এসে দুই পক্ষকে আলাদা করে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং ভিড় সরে যেতে নির্দেশ দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি সম্পূর্ণই তাৎক্ষণিক ভুল বোঝাবুঝি ও উত্তেজনার ফল। ঘটনাস্থল থেকে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা গুরুতর আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। দুই পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরামর্শ দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়েছে।
ঘটনাটির পর এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে এবং জনসাধারণ অবাধে চলাচল শুরু করে। পল্টন থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বায়তুল মোকাররম এলাকা সবসময় জনসমাগমে ভরপুর থাকায় দোকানদার ও ক্রেতার মধ্যে ছোটখাটো বিরোধ হঠাৎ বড় আকার নিতে পারে। এজন্য এলাকায় নিয়মিত টহল এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া দল প্রস্তুত থাকে।
স্থানীয় দোকানদার সমিতির এক সদস্য বলেন, ফুটপাথের দোকানে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের সঙ্গে দরদামের বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তবে মারামারিতে জড়িয়ে যাওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা চেষ্টা করবেন যেন ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
ঘটনাটির পর জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় একটি সম্ভাব্য বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে পুরো এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
আমার বার্তা/এমই
