জমি কিনে হয়রানির শিকার এক প্রবাসী নারী।

প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ২২:১২ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

গাজীপুর জেলার বোর্ডবাজার এলাকার গাছা থানাধীন এলাকাবাসী আব্দুল বারেক, এক সময় জমি দালালি করত। জানা যায় কুয়েত প্রবাসী শাহানা বেগম ১৯৯৫ সালে শাহানা বেগমের মা, রোকেয়া বেগমকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আব্দুল বারেক কিনে দিয়েছিল কিছু জমি সে দলিলে বারেকের সাক্ষর আছে। কুয়েতের পরিশ্রম করে বোরকা শিলাইল করে সেই টাকা পাঠিয়ে কেনা হয়েছিল এবং জমি রেজিস্ট্রি করা হয়, সেই জমির।
কুয়েত থেকে পাঠানো টাকা দিয়ে ২০০০ সালে চারপাশ দেয়াল দেওয়া হয়। তৈরি করা হয় টিনশেড ঘর। দেখা শোনা করতেন, মাঝে মাঝে রোকেয়া বেগম। তারপর থাকতেন শাহানা বেগমের বড় মেয়ে আঞ্জুমান আরা মুন্নি তিনি সেখানে মাদ্রাসার শিক্ষিকা ছিলেন। মুন্নি উত্তরাতে চলে যাবার পর শাহানা বেগমের মেজো ছেলের স্ত্রী বসবাস করেন দুই সন্তান নিয়ে জান্নাত ও ওসমান এবং এখনো আছেন।

শাহানা বেগম জীবন যুদ্ধ করেই তিন ছেলে সহ প্রায় ৩০ বছর প্রবাসী জীবন কাটান। শাহানা বেগম একসময় জানতে পারেন দীর্ঘ এতো বছর পর তার কিনা সে জমি, জমির দালাল আব্দুল বারেক জমি দখল করে নিচ্ছে। কখনও কখনও ভয় দেখায়, রাস্তা বন্ধ করে দিবে। শাহানা বেগম স্টক করেন। হয় যান বাকরুদ্ধ মানুষ। কুয়েত থেকে চলে আসেন বাংলাদেশে ২০২১।

তিন ছেলে কুয়েতে আছেন। ছেলেদের বউ আর মেয়ে মুন্নিকে নিয়ে এলাকার কমিশনার কাছে বিচার সালিশ করে কোন সুরাহা পাননি। গাছা থানা অভিযোগ পত্র দাখিল করেন সেখানে কোন সুরাহা হয়নি। কুয়েত থেকে ছুটি নিয়ে শাহানা বেগমের বড় ছেলে রাশেদুল আনোয়ার সোহেল এসে ওয়ার্ড কমিশনারের কাছে বেশ কয়েক বার বসার পরেও কোন সমাধান হয়নি। আব্দুল বারেক দখল করে কিছু অংশ খোলা জমি উপর ঘর তৈরি করার সময় থানায় অভিযোগ জানালে বারেক কাজ বন্ধ করতে বলে সেই সময় এস আই শিবু। এই স সমস্যা নিয়ে সোহেল দেশে আসে, আবার কুয়েত চলে যান মেঝ রাসেল ছুটি নিয়ে আসেন রকান সমাধার হয় না। সে সুযোগে বারেক তৈরি করে ফেলেন ঘর। এখন অসহায়ের মত ঘুরছেন বাকরুদ্ধ শাহানা। শাহানা বেগম পেতে চায় তার শ্রমের টাকা দিয়ে কি না জমি। চান সকলের সহযোগিতা। আইনের মাধ্যমে ফিরে পেতে জমি


শাহানা বেগমের বড় ছেলে এম রাশেদুল আনোয়ার সোহেল চলতি বছর অভিযোগ প্রেরণ করেছেন কুয়েত দূতাবাসে। ঠিকানা বড়বাড়ি রড, ওয়ার্ড নং ৩৩ অঞ্চল ২ উত্তর খাইলকুর, বোর্ড বাজার, থানা গাছা, জেলা গাজীপুর। কর্তৃক জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণের নির্মিত সমস্যা উল্লেখ পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। মোহাম্মদ আবুল হোসেন মিনিস্টার (শ্রম ও স্থায়ী) অনুলিপি সদয় অবগতির জন্য (১), পুলিশ সুপার গাজীপুর। (২), সিনিয়র সহকারী সচিব পশ্চিম এশিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা। (৩) সরকারি সচিব কল্যাণ শাখা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ঢাকা।