টিকটকার সাকিবের গোপনাঙ্গ কেটে ফেললেন স্ত্রী

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৭:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  এম রানা:

শিখা খান ও তার স্বামী টিকটকার সাকিব খান। ছবি সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দরে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন মাদকাসক্ত স্ত্রী শিখা। আহত স্বামীর নাম সাকিব খান। তিনি টিকটকার হিসেবে পরিচিত। আটক শিখা খান (২৬) বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় এলাকার জুম্মন খানের মেয়ে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া কান্দিরপাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে দুপুরের দিকে শাকিব খানকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী  শিখাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বন্ধর থানা পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।
 
স্থানীয়রা জানান, সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করেন। তারা দুজনই মাদকাসক্ত। প্রায় সময় তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হতো। কয়েকবার স্থানীয়রা তাদের মীমাংসা করে দিয়েছেন। সাকিব ও শিখার একাধিক বিয়ে হয়েছে। আজ ভোরে কোনো এক সময় ঘরের ভেতর সাকিবের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন তার স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন  মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহম্মেদ। তিনি জানান, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে আলোচিত টিকটকার সাকিবকে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করি ।এ সময় সাকিবের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। কেটে ফেলা গোপনাঙ্গের অংশ স্ত্রী শিখার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।

এসআই আরও জানান, প্রথমে শাকিবকে উদ্ধার করে  বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে সাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। বর্তমানে বার্ন ইউনিটে  সার্জারি শেষে তাকে পর্যবেক্ষণ (পোষ্ট অপারেটিভ সেন্টার) রাখা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি  সাকিব খানের আসল নাম সাকিল বেপারী। তিনি মাদারীপুর জেলার বাজিতপুর এলাকার মিন্টু বেপারীর ছেলে। সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা দুজনই মাদকাসক্ত। আহত সাকিবের তথ্য মতে, শিখা তার স্বামীকে মধ্য রাতের কোনো এক সময় বিয়ারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। ঘুমিয়ে পড়লে ভোরের কোনো এক সময় তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন শিখা। তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত শেষে বলা যাবে। অভিযুক্ত শিখা খানকে আটক করে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই রাজু আহমেদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হলে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তার  চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।


আমার বার্তা/এমই