মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে নীলফামারীর সিংদই পদ্মবিল

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ

  নীলফামারী প্রতিবেদক ঃ

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পদ্মফুল

পদ্ম আর শাপলা ফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে নীলফামারীর সিংদই পদ্মবিলে। লতাপাতায় ভরা এ বিলের পানিতে ফুটেছে গোলাপি ও সাদা রঙের ফুল। সকালে সূর্যের সোনালি আভায় পানিতে প্রতিফলিত হয়ে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় আরো কয়েকগুণ। এসব দৃশ্য দেখতে কষ্ট সহে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে ফুল নষ্ট না করাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করার দাবী স্থানীয় ও দর্শনার্থীদের।

সরজমিনে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত শতসহস্র পদ্ম আর শাপলা ফুলে ভরা সিংদই পদ্মবিল। নীল আকাশের নিচে গোলাপি আর সাদা ফুল সূর্যের সোনালি আভায় পানিতে প্রতিফলিত হয়ে বাড়িয়েছে কয়েকগুণ সৌন্দর্য। এসব সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা। বাহারী রঙের ফুল দেখে মুগ্ধ তারা।

নীলফামারী জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে ইটাখোলা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী সিংসদ পদ্মবিল। প্রায় ১০ একরের এই বিলটিতে বর্ষা মৌসুমে ফুটে হরেক রঙের ফুল যা শরতে ছরিয়ে যায় বিল জুড়ে। আর হেমন্তে ঘটে এর পরিব্যাপ্তী। অযন্তে পড়ে থাকা বিলটি ছিল দীর্ঘকাল দখলদারদের হাতে। সম্রতী পদ্ম আর শাপলা ফুল ফোঁটায় নজরে আসে প্রশাসনের বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানায়, এক সময় বিলটি সরকারের নামে থাকলেও পরে বিলটি স্থানীয় প্রভাবশালীরা মালিকানাধিন করে নেয়। এর ফলে ওই বিলে কেউ মাছ ধরাতো দূরের কথা বিলের পানিতে কেউ নামতে পারতোনা। কেউ মাছ ধরতে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এর পর ওই বিলে পদ্ম ফুল ফোটায় দিন দিন মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে দূর দূরান্ত থেকে ফুল দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা।

এলাকাবাসী জানায়, নান্দনিক এই বিলে পদ্ম আর শাপলা দেখে মন জুড়িয়ে নিতে প্রতিনিয়ত সকাল-সন্ধ্যায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। কাছ থেকে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ান দর্শনার্থীরা। কেউ এক ঘন্টা, কেউবা দুই ঘন্টা ধরে চতুর দিক ঘুরতে থাকেন। বিশেষ করে সকাল আর বিকেলে মা মানুষের আনাগোনা থাকে বেশি।

এদিকে, সৌন্দর্য উপভোগ করতে আশা দর্শনার্থীদের অভিযোগ, নীলফামারী শহর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে বাড়বে দর্শনার্থীদের ভিড়। একসময় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠলে এই পদ্মবিল। তাই পদ্মবিল যাওয়ার রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার দাবী তাদের।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, পদ্মবিলের শোভা বর্ধন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সমৃদ্ধকরণ ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বাড়ানো হবে। মনমুগ্ধকর ও দৃষ্টিনন্দন এই পদ্মবিলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে বাড়বে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে, শিঘ্রই বিলটি দৃষ্টিনন্দনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।