কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তায় লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০:১৯ | অনলাইন সংস্করণ

  এম জি রাব্বুল ইসলাম পাপ্পু (মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি) কুড়িগ্রাম :

লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, হিমেল হাওয়া এবং ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হচ্ছে সকাল সন্ধ্যা। সকালের সবুজ ঘাস শিশিরে ভিজে ঝকমক করে, আর কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে সোনালী ধানক্ষেত। দিনের বেলা সূর্যের মৃদু উত্তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পরই কুয়াশা আর হালকা ঠান্ডা জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তা।

এরই মধ্যে  কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে  দোকানগুলোতে লেপ-তোশক তৈরির ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  কারিগরদের ব্যস্ততা বাড়ছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। কুড়িগ্রাম শহরের পৌর বাজার, সুপার মার্কেট এলাকার এন আর প্লাজা ও কালীবাড়ী বটতলায় লেপ-তোশক তৈরিতে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন স্থানীয় কারিগররা।

কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেটের সামনের দোকানের। কর্মচারী  জানান, শীতের শুরুতে শহরের লোকজন নতুন লেপ-তোশক বানাতে আসছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ছোট-বড় লেপ-তোশক তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের তুলা দিয়ে। শিমুল তুলার দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কার্পাস তুলা ১২০ টাকা এবং গার্মেন্টস তুলা ৪০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে।

লেপ-তোশক কারিগর সবুজ জানান, অগ্রহায়ণ মাস থেকে শীতের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। শীতের শুরুতেই অর্ডার ভালো হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, পৌষ-মাঘ মাসে আরও বেশি কাজ হবে।

শহরের কালীবাড়ী বটতলার কয়েকজন কারিগর জানান, গার্মেন্টস তুলা দিয়ে একটি লেপ তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ১৫০০ টাকা। প্রতিদিন দোকানের ৫-৬ জন মিলে ৫ থেকে ৭টি লেপ-তোশক তৈরি করছি। প্রতিটি লেপের জন্য ৩০০ টাকা এবং জাজিমের জন্য ৬০০ টাকা মজুরি পাই। প্রতিদিনের আয় জনপ্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মতো।

আমবাড়ি মোড় থেকে আসা একজন ক্রেতা   জানান, দিনে কিছুটা  গরম থাকলেও সন্ধ্যায় ঠান্ডা পড়ে। সামনের মাসে শীত আরও বাড়বে। তাই আগেভাগে   লেপ তৈরি  করে নিচ্ছি।
শীতের শুরুতে ঘন কুয়াশা এবং মৃদু হিমেল হাওয়া দেখে মনে হচ্ছে এবছর ও উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।