সরাইল উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আতিকুল ইসলাম(মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি) সরাইল:

সরাইলে বিএনপির কমিটি ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা

কমিটি সংক্রান্ত বিরোধে উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা বিএনপির রাজনীতি। সদ্য প্রকাশিত উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি জনসম্মুখে আসার পর থেকেই পদবঞ্চিতদের তোপের মুখে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। যার ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে বিরাজ করছে অস্থিরতা। 

জানা গেছে, প্রায় ৪ মাস পূর্বে আনিছুল ইসলাম ঠাকুরকে সভাপতি এবং এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুকে সাধারণ সম্পাদক করে সরাইল উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছিল জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অজানা নানা কারণে জনসম্মুখে প্রকাশ পায়নি সেই কমিটি। 

সম্প্রতি সেই কমিটির কাগজ জনসম্মুখে আসার পর থেকেই ফুসে উঠেছে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাষ্টার- এর সমর্থকেরা। 

গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে সরাইল উপজেলা সদরের ভূমি অফিসে অবস্থানকালে প্রায় ঘন্টাব্যাপী আনোয়ার হোসেন মাষ্টারের কর্মী সমর্থকদের তোপের মুখে অফিসটির একটি কক্ষে অবরুদ্ধ ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর। পরবর্তীতে পুলিশ- প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরাপদে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা হয় তার। 

আনোয়ার হোসেন মাষ্টার ও তার সমর্থকদের দাবি, এটা একটা ঘরোয়া ও পকেট কমিটি। যে কমিটিতে স্থান পেয়েছে বেশির ভাগ অরাজনৈতিক ও অন্য দলের লোকজন। এ কমিটিতে বেশি স্থান পেয়েছে বিগত সময়ে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলো না এবং সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির পরিবারের লোকজন। এ কমিটি অনতিবিলম্বে বাতিল করে ত্যাগীদের সমন্বয়ে কমিটি দিতে হবে, অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

তবে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, ত্যাগী ও যোগ্যদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলের দুর্দীনে আমরা রাজপথে থেকে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছি। আজকে যারা কমিটির বিরুদ্ধে কথা বলছে তার অনেকেই দল থেকে বহিষ্কৃত, ও দলছুট নেতা। বসন্তের কোকিলের মতো সুদিনে তাদের আগমন হয়। 

এদিকে বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত সরাইল উপজেলার এই কমিটি বিরোধ ভালো চোখে দেখছেন না শান্তিপ্রিয় মানুষেরা ও তৃণমূলের কর্মীরা। 

তাদের দাবি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যেদিকে মোড় নিচ্ছে যে-কোনো মুহুর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। এর আগেই এখানকার রাজনীতিতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।