কুয়াশার চাদরে মুড়ে আছে পঞ্চগড়ের প্রকৃতি, ১১ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস আর ঘনকুয়াশায় আজও শীতের দাপট অব্যাহত আছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করছে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে গেছে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘনকুয়াশায় আছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত এই সহকারী কর্মকর্তা বলেন, ঘনকুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। আজ বুধবার ( ২২ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ ছিল, যা গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, লোকালয়। সেইসঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।

মাইক্রোবাসচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘনকুয়াশা আর হিম বাতাসের কারণে ভাড়া তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়া পাওয়া গেলেও কুয়াশার জন্য অত্যন্ত সাবধানে ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

ভ্যান চালক জাফর আলী বলেন, ভ্যানের হাতলে হাত রাখা যায় না। হাত-পা অবশ হয়ে যায়। কুয়াশা আর বাতাসের কারণে রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। আর রাস্তায় ভ্যান নিয়ে থাকলেও যাত্রী মিলছে না। খুব কষ্টে একবেলা রিকশা চালাচ্ছি। এতে রোজগার একেবারেই কমে গেছে।


আমার বার্তা/জেএইচ