সাংবাদিকের জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিনিধি :

মধ্য রাতে সিনেমা কায়দায় জমি থেকে ৬ ফুট গর্ত করে বালু উধাও! পরদিন সকালে জানাজানি হলে বেরিয়ে আসে সত্য। ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করে উত্থান হয় এক শক্তির, তারই মহড়া ছিলো এটি।
ঘটনাটি ঘটে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার চরঘাটিনা গ্রামে। জেলা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক সাইফ পাভেল ও তার ছোট ভাই পারভেজের নেতৃত্বে জমি দখল ও ৩ লাখ টাকার বালু বিক্রি করা হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক রাহিদ রনি জানান, 'পাভেল ও পারভেজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সবাই। শুধুমাত্র বিএনপি ট্যাগ নিজেদের সাথে যুক্ত করে সব অন্যায় ও অপরাধ করছে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার। অভিযোগ দিলেও নেই নাই কোন ব্যবস্থা।
চরঘাটিনা গ্রামের শিক্ষক আইয়ুব আলী। দুই যুগের বেশি সময় শিক্ষকতা করছেন। তার তিন সন্তানের বড় ছেলে ঢাকায় এক যুগেরও বেশি সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত। ছোট দুই ভাই গ্রামেই থাকেন।
শুধু কি জমি দখল! ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও ডাকাতি করেছে এই পাভেল ও পারভেজ। দুই সন্ত্রাসী সহোদরের অপরাধের তালিকা অনেক লম্বা। চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক বেচাকেনার সাথেও জড়িত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক পাভেল।
পাভেল স্বীকৃতি পাওয়া ইয়াবা আসক্ত, মদ্যপানে অভ্যস্ত। একটি ঘটনা বেশ আলোচিত এলাকায়। চায়না পড়ালেখা করার সময় মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে পাভেল। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ও কঠোর আইনের কারণে পাভেলকে চীন থেকে বের করে দেয়া হয়। কিছুদিন চীনের কারাগারেও ছিলো মাদকাসক্ত পাভেল।
নিজে মাদকাসক্ত হয়ে চরঘাটিনার মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়েছে সন্ত্রাসী পাভেল। যাকে তাকে ধরে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। এই দায়িত্ব তাকে কে দিয়েছে?
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসী পাভেলের বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি, সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি অবগত। কোন ব্যবস্থা-ই নেয় নাই। সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজের সাথে পাভেলের সখ্যতার কিছু ছবি দেখা যায়।
এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, 'বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। প্রচলিত আইনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
সন্ত্রাসী পাভেল ও পারভেজের বাবা এলাকায় লুচ্চা মতিন নামে পরিচিত। একাধিকবার ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টায় লুচ্চা মতিনকে জুতা পেটা করা হয়। শিশু নিপীড়নের সাথেও জড়িত লুচ্চা মতিন। পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে, বেশভূষা পরিবর্তন করে, হজ্ব করে এসে লুচ্চামি বাড়িয়ে দিয়েছে লুচ্চা মতিন।
নারী নিপীড়ক, শিশু নির্যাতক লুচ্চা মতিনের বিচারের দাবিতে এলাকায় একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছে।
সাংবাদিক রাহিদ রনি বলেন, 'প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হুমকি দিলেও প্রশাসন ও বিএনপি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বারবার বলা হলেও এড়িয়ে যাচ্ছে। তাহলে কার কাছে বিচার পাবো?'
তিনি আরও জানান, 'কাজের সুবাদে তিনি ঢাকা থাকলেও স্ত্রী ও সন্তান থাকে উল্লাপাড়া থানার চরঘাটিনা গ্রামে। বাচ্চা অপহরণের হুমকিও দিয়েছে সন্ত্রাসী পাভেল ও পারভেজ। দেশে আজ কারো নিরাপত্তা নাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বারবার কল দিলেও ফোনে পাওয়া যায় নাই পাভেলকে।