যশোরে গৃহবধূকে হত্যা, লাপাত্তা স্বামী-সতিন

প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

যশোরের মনিরামপুরে সাথী আক্তার (৩৫) নামের এক চাতালে শ্রমিকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাথীর স্বামী ও সতিনের বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা জাহাতাব মোড়লের চাতালের একটি ঘরে তার লাশ পাওয়া যায়। নিহত সাথী আক্তার চাতাল মালিকের ছেলে আব্দুর রশীদ মিন্টুর ছোট স্ত্রী। সাথী আক্তার চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

সাথীর স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের এক লাখ টাকা না পেয়ে মিন্টু তার বড় স্ত্রী ও ছেলে রিফাত হোসেনকে নিয়ে সাথীকে খুন করেছেন।

সাথীর মা আলেয়া বেগম বলেন, ‘সাথী আমার একমাত্র মেয়ে। চার মাস আগে ওর বাপের জমি বেচে মিন্টুর হাতে চার লাখ টাকা দিছি। মিন্টু আরও এক লাখ টাকা চেয়েছে। টাকা না দেওয়ায় সে আমার মেয়েকে গলা কেটে খুন করেছে। আমি মিন্টুর ফাঁসি চাই।’

সাথীর মা আরও বলেন, ‘সাথীর প্রথম স্বামীর ঘরে দুই ছেলে আছে। সেখানে বনিবনা না হওয়ায় ছেলে দুটোকে নিয়ে মেয়ে আমার বাড়ি থাকত। চার বছর আগে মিন্টু আমার বাড়ি গিয়ে সাথীকে চাতালে কাজের জন্য নিয়ে আসে।

এরপর একদিন মিন্টু আমার মেয়েকে চাতালে ফেলে ধর্ষণ করে। আমি জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে মিন্টু সাথীকে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করে। মিন্টু আমার মেয়েকে মারধর করত। আমার সামনে কয়েক দিন গলা টিপে ধরেছিল।’

এদিকে স্থানীয়রা জানান, মিন্টু এক সময় অবৈধভাবে অস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। এরপর ১০-১১ বছর সাজা খেটে বেরিয়ে এসে সাথীকে বিয়ে করেন।

এদিকে বেলা ১টার দিকে সাথী আক্তারের লাশ উদ্ধারের সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত মিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এ সময় লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, গৃহবধূ সাথীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল। আমরা খুনের কারণ উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছি।

 

আমার বার্তা/এল/এমই