বগুড়ায় কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৭ লাখ পশু

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ১৬:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা/এল/এমই

বগুড়ায় কোরবানির জন্য সাত লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় খামারে প্রস্তুত করা এসব পশু চাহিদা মিটিয়েও প্রায় সাড়ে ৩৮ হাজার উদ্বৃত্ত থাকবে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ, খামারি, ব্যাপারী, গৃহস্থরা আশা করছেন, বাজেটের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত পশু মিলবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায়, ঈদুল আজহায় এবার বিক্রির জন্য জেলার ১২ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাত লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি বিভিন্ন ধরনের পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছর ছিল সাত লাখ ৩৪ হাজার ৪১৫টি। সে বছর জেলায় খামারির সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৪৫৩ জন। এ বছর দুই হাজার ৬৯৩ জন বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ১৪৬ জন। তারাই সিংহভাগ কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন।

এ বছর প্রস্তুত করা পশুর সঙ্গে কোরবানির পশুর চাহিদাও বেড়েছে। গত ঈদে পুরো জেলায় পশুর চাহিদা ছিল সাত লাখ পাঁচ হাজার ২৬০টি। এবার চাহিদা ধরা হয়েছে সাত লাখ নয় হাজার ১০টি; যা গত বছরের চেয়ে তিন হাজার ৮৫০টি বেশি।

তবে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে ৩৮ হাজার ৪৩২টি। মজুত পশুর মধ্যে ষাঁড় এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৯৯টি, বলদ গরু ৪২ হাজার ৭৪৬টি, গাভি ৮০ হাজার ৪২৬টি, মহিষ দুই হাজার ৩০৪টি, ছাগল তিন লাখ ৮০ হাজার ৬৩২টি ও ভেড়া ৪৭ হাজার ১৪০টি।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত দিনে কোরবানির পশু ও সারাবছর খাওয়ার জন্য মাংসের চাহিদা মেটাতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। গত কয়েক বছর ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হওয়ার পর সরকারি ও বেসরকারিভাবে পশু উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়।

এতে দেশে উৎপাদিত পশু দিয়ে কোরবানি ও সারা বছর খাওয়ার মাংসের চাহিদা মিটছে। তবে আগের চেয়ে পশু ও গোশতের মূল্য অনেক চড়া; কিন্তু চামড়ার মূল্য নেই বললেই চলে। দেশীয় পশুর মাধ্যমে কোরবানি ও খাওয়ার গোশতের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকছে। খাদ্য ও পশু লালন পালনের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় সবার প্রত্যাশিত বরাদ্দে কাঙ্ক্ষিত পশু মিলছে না। এতে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন কোরবানি পশু কেনা নিয়ে সংকটে পড়বেন।

খামারিরা বলছেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলার খামারগুলোতে কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে গো-খাদ্যের বাড়তি দামের কারণে তারা এসব পশুর প্রত্যাশিত মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত। তারা বলছেন, প্রতি বছর গো-খাদ্য ভুষি, ধানের কুড়া, খৈল, খড়, ঘাসসহ গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণ প্রতি গরুতে প্রস্তুত খরচ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ১০০ কেজি ওজনের কোরবানির পশু প্রস্তুত করতে যে খরচ করতে হয়েছিল এবার তার সঙ্গে অন্তত ৩০ শতাংশ যোগ করতে হবে। ফলে কোরবানির হাট-বাজারে পশুর দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে।


আমার বার্তা/এল/এমই