আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ১৭ ফেরি ও ২০ লঞ্চ

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ১৪:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

  গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

পবিত্র ঈদুল আজহায় যাত্রী, যানবাহন পারাপার ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক পারাপার নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। এছাড়াও পশুবাহী ট্রাকগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থায় পার করা হবে।

শনিবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি সার্ভিস, নৌপথে লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানসমূহের সুষ্ঠুভাবে চলাচল নিশ্চিতকল্পে ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রো রো ফেরি ৯টি, মিডিয়াম টাইপ ফেরি ৩টি ও ছোট ফেরি ৫টিসহ বহরে মোট ১৭টি ফেরি থাকবে। এছাড়াও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩, ৪ ও ৭ নম্বরসহ মোট ৩টি ঘাট সচল থাকবে। এছাড়াও ঈদুল আজহার আগে পানি বৃদ্ধি পেলে আরেকটি ফেরিঘাট চালু করা হবে। ১৭টি ফেরি ও ৩টি ঘাটের মাধ্যমে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।

তিনি আরও বলেন,পশুবাহী ট্রাকগুলোকে বিশেষভাবে পার করা হবে। পশুবাহী ট্রাকগুলো ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারবে। যাত্রীবাহী বাস ও পশুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) সাগর মল্লিক বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। আরিচা-কাজিরহাট রুটে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। পাটুরিয়া প্রান্তে ৩টি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩টি ঘাট সচল রয়েছে। প্রয়োজন হলে দৌলতদিয়াতে একটি ও পাটুরিয়াতে আরও একটি ঘাট সচল করা হবে।ইনশাআল্লাহ সকলের সহযোগিতায় আমরা ঘরমুখো যাত্রীদের ভাল একটি ঈদ উপহার দিতে পারব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। থানা পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ একাধিক টিম থাকবে। এছাড়াও নৌপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা পুলিশ সর্বদা মাঠে থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন কাজ করবে। যাত্রীরা যেন ঈদে বাড়িতে ও ঈদের পরে কর্মস্থলে নির্বিঘ্নে ফিরতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করবে। ঈদের দিনসহ ঈদের আগের তিন দিন ও ঈদের পর আরও সাত দিন নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যায় নদী পথে পশুবাহী ট্রলার থাকবে না। প্রত্যেকটি পশুবাহী ট্রলারে গন্তব্যস্থানের নাম লেখা থাকতে হবে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনও বন্ধ থাকবে। এছাড়াও পশুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে।দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঈদের আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট থাকবে মোবাইল কোর্ট করার জন্য। যাত্রীদের থেকে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা যেনো অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট থাকবে।

তিনি আরও বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়া টার্মিনালে যানবাহনের ভাড়ার চার্ট দৃশ্যমান থাকবে। এছাড়াও সচেতনতামূলক বিভিন্ন ব্যানার ঘাট এলাকায় থাকবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) শ্রীনাথ সাহা, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) আতাউর রহমান খান, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ টিআই সাগর মল্লিক, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জুয়েল, জেলা বাস মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রমজান আলী, লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ মল্লিক প্রমুখ।


আমার বার্তা/এল/এমই