লাকসামে করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা সভা

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ২০:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

  ইবরাহীম খলিল(মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি) লাকসাম :

ছবি : প্রতিনিধি

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে সচেতনতা সভা প্রেস মিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) পৌরসভা মিলনায়তনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ সহ উপজেলা স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কাউছার হামিদ। 

সভায় জানানো হয়, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশসমূহের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যক্তিগত পরিছন্নতা সহ প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নাকমুখ মাক্স দিয়ে ঢেকে রাখা, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা এবং অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মূখ স্পর্শ না করা ও হাঁচি কাশির সময় বাহু, টিস্যু, কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়। 

এছাড়া ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সকলকে স্বাস্থ্য বার্তা মেনে চলাসহ বাড়ির আঙ্গিনা ও মশার ডিম পাড়া ও বংশ বিস্তারের স্থান পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সেরে যায়, তবে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারত্বক হতে পারে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ করা যায়।বর্ষার সময় এ রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই এ সময় অধিক সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, আপনার ঘরে এবং আশেপাশে যে কোন পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিন দিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিস্কার করতে হবে। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারী শেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা উপন্যাস চন্দ্র দাস, পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আখতার হোসেন, পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমরান আল মেহেদী প্রমুখ।