গভীর রাতে বাড়ির উঠানে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১১:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনা নদীবেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চলে দুর্বৃত্তদের হাতে বাড়ির উঠানে আব্দুর রহিম (৫০) নামের এক ইউপি সদস্য খুন হয়েছেন।

রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান। এর আগে গতকাল শনিবার (২৮ জুন) রাত ২ টার দিকে উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের জিগাতলা চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷

নিহত আব্দুর রহিম ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (জিগাতলা গ্রাম) বাসিন্দা। তিনি জিগাতলা গ্রামের মৃত তয়বুর খন্দকারের ছেলে এবং পরপর দুইবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে রাতে নিজ ঘরের কক্ষ থেকে ডেকে বের করা হয় আব্দুর রহিমকে। বাড়ির উঠানে ১০-১২ জনের একটি দল উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর সময় নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনরা বাঁধা দিতে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। আর ঘটনা স্থলেই মারা যায় আব্দুর রহিম। পরে পুলিশকে খবর দিলে সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়৷

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, আব্দুর রহিম ছিলেন সৎ, নির্ভীক ও জনপ্রিয় একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। তাকে কেন এবং কারা হত্যা করলো, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও রহস্যজনক। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।”

ঘটনার পরপরই এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় ঘটনার সময় স্থানীয়রা তেমন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা কাজ সেরে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত জিগাতলা গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা একান্তই নদীনির্ভর। নৌপথ ছাড়া সেখানে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এই ভৌগোলিক দুর্গমতাই অপরাধীদের জন্য আশ্রয় ও পালানোর সুবিধা তৈরি করে।

ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আতিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। নিহতের মরদেহের সুরতহাল শেষে ট্রলারে করে থানায় আনা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

প্রসঙ্গত, যমুনার ওই চরাঞ্চলে এটি দ্বিতীয় ইউপি সদস্য হত্যাকাণ্ড। এর আগে একই ইউনিয়নে আরেকজন জনপ্রতিনিধি খুন হন, যার বিচার আজও ঝুলে আছে। ফলে এবারের ঘটনার পর চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।


আমার বার্তা/জেএইচ