চট্টগ্রামে সড়ক উন্নয়ন, যানজট ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫, ২০:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

  মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম :

ছবি : প্রতিনিধি

বন্দর-ইপিজেড-পতেঙ্গা এলাকায় চলমান জনদুর্ভোগ ও যানজট নিরসনে আগামী ২৪ জুলাই বিশাল মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন এলাকাবাসী। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে নগরীর লিলি কমিউনিটি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মো. আমিন সওদাগর এবং সঞ্চালনা করেন উদ্যোক্তা সাংবাদিক মোহাম্মদ হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ব্যাংকার মো. নিজাম উদ্দিন শাহ মামুন।

সভায় বক্তারা বলেন, নির্মাণাধীন সড়কের গর্ত, উল্টোপথে যানবাহন চলাচল, ফুটপাত দখল এবং অব্যবস্থাপনা—সব মিলিয়ে বন্দর-ইপিজেড-পতেঙ্গা রুটে ভয়াবহ যানজট তৈরি হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

বন্দর থানা সিটিজেন ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব মো. হানিফ সওদাগর বলেন, "ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। দুর্ঘটনার জন্য আইনগত ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও বিকল্প সড়কগুলো দ্রুত চালুর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।"

বিসিবি পরিচালক ও আঞ্জুমান ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনজুরুল আলম মঞ্জু বলেন, "আমরা আর জনদুর্ভোগ দেখতে চাই না। বানৌজা নিউ মুরিং সংযোগ সড়ক দ্রুত চালু এবং সিমেন্ট ক্রসিং দিয়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করলে যানজট অনেকটা কমবে।"

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলার সাবেক স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. নূরুল আলম, ইপিজেড থানা সিটিজেন ফোরামের সভাপতি রোকন উদ্দিন মাহমুদ খলিল, সাধারণ সম্পাদক হাজী মুজিবুল হক বকুল, শিক্ষাবিদ মো. জহিরুল ইসলাম জহির, সাবেক ছাত্রনেতা মো. ইউসুফ রেজা মিন্টু, ব্যবসায়ী মো. ইন্তেখাব আলম কাবু, সমাজসেবক হাজী মো. শাহিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্টজনেরা।

বক্তারা অবিলম্বে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরেন: রাত ১০টার পর টলি গাড়ি, ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ। যত্রতত্র বাস দাঁড় করানো ও যাত্রী ওঠানামা বন্ধ। ফুটপাত দখলমুক্ত করে নির্দিষ্ট গাড়ি পার্কিং স্থাপন।সংযোগ সড়ক দ্রুত চালু করা ড্রেন ও খালের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা।অবৈধ গাড়ি পার্কিং, বাজার বসিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।

সভা শেষে ঘোষণা করা হয়, আগামী ২৪ জুলাই একটি বৃহৎ মানববন্ধনের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিডিএ, জেলা প্রশাসক, চসিক মেয়র ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।