গজারিয়ার বাউসিয়ায় বন্যা ও বৃষ্টিহীন জলবদ্ধতার শিকার ৪০ পরিবার

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৫:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ

  মুকবুল হোসেন

পানিতে ডুবে গেছে বাড়ি ঘরের টয়লেট, গোসলখানা, মাটি ধ্বষে পড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ফলের গাছ, ছোট সন্তান নিয়েপানিতে পড়ার আশঙ্কায় বাবা-মা , সমাধানের পথ মিলছে না কোনভাবে।

গজারিয়া উপজেলার বাউসিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন  দেশের খ্যাতনামা অন্যতম মানাবে ওয়াটার পার্ক এর নিষ্কাশিত পানিতে সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় জলাবদ্ধতা । বন্যা ও বৃষ্টিহীন জলাবদ্ধতায় হার মানিয়েছে ইতিহাস সৃষ্টিকারী প্লাবিত বন্যার   দৃশ্য ।

জলাবদ্ধতায় মাটি সরে গিয়ে আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে ভরাট বাড়ি। ভেঙ্গে পড়ছে শত রকমের ফল-ফলাদি গাছ ,আশঙ্কায় আছে ছোট্ট ছেলে মেয়েদের  নিয়ে বাবা  - মা ,পানিতে ডুবে যাওয়ার ২৪ ঘন্টা আতঙ্কে কাটছে তাদের দিন।দুই বছর ভোগান্তির পরও মিলি নাই সমাধান। শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী পরিবার ও মানুষদের মধ্য থেকে  অর্ধশত অবিভাবক ভুক্তভোগী  গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেন। 

জলাবদ্ধতায় ভুক্তভোগীদের মধ্য থেকে  আবুল কাশেম প্রধান ,জাকির হোসেন সহ একাধিক নারী পুরুষ জানান   মানাবে পার্কের নিষ্কাশিত পানির জলাবদ্ধতায় বহুবিধ সমস্যার শিকার হচ্ছি দুই বছর ধরে। জলাবদ্ধতায় গাছের গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে বিভিন্ন ফল ও গাছ পড়ে যাচ্ছে পানিতে। কখনো কখনো জলাবদ্ধতা বেড়ে ডুবে যাচ্ছে বাসা বাড়ির টয়লেট গোসলখানা। ঘরে বসেই দেখছি মহা বন্যার প্লাবিত দৃশ্য। ঘরে থাকা ছোট্ট ছেলেমেয়েদের নিয়ে পানিতে ডুবে যাওয়ার আতঙ্কে আছি ২৪ ঘন্টা । জলাবদ্ধতা সমাধানে মানাবে পার্কের কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার   অবগত করে পাওয়া যায়নি সমাধান। পার্কের  সৃষ্টি করা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চান দুই শতাধিক নারী পুরুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ২৫০ বিঘার উপর নির্মিত মানাবে ওয়াটার পার্ক। সারা বছরব্যাপী নিষ্কাশিত পানিতে জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে পার্ক এর পাশে গড়ে ওঠা এলাকাবাসী। মানাবে ওয়াটার পার্কের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান নিষ্কাশিত পানির সমস্যা নিরসনে ভুক্তভোগী পরিবারদের সাথে  সমাধান আলাপ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে স্থায়ী সমাধান দেয়া হবে।


আমার বার্তা/জেএইচ