নোয়াখালীতে সাবেক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:০৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দখল ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় সাহাব উদ্দিন (৫০) নামে বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে বসুরহাট হাসপাতাল রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার প্রবাসী ভাই বেলাল হোসেন (৩৭) তাকে রক্ষার চেষ্টা করলে তিনিও আহত হন।

গুরুতর আহত সাহাব উদ্দিনকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সাহাব উদ্দিন চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আহম্মদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যুবদল কর্মী ইব্রাহিম, ইসমাইল, সাব্বির ও বাহাদুরসহ ১০-১৫ জন হামলা চালান সাহাব উদ্দিনের ওপর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মতিন তোতার ছেলে ও সহযোগী। গত বছরের ৩০ আগস্ট সন্ত্রাসী হামলায় তোতা নিহত হন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ভুক্তভোগী সাহাব উদ্দিন, যিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।

ঘটনার পর সন্ধ্যায় বসুরহাটে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সদস্য ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার ও সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের ছত্রছায়ায় চরএলাহীর তোতা চেয়ারম্যানের ছেলেরা চাঁদাবাজি করে আসছে। এসবের প্রতিবাদ করায় আজ (রোববার) বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনকে তারা হত্যা চেষ্টা করেছে। অবিলম্বে এ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

পরে ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবদুল মতিন তোতা চেয়ারম্যানের ছেলে ইব্রাহিম তোতা (৪৭)। ৫ আগস্টের পর থেকে চরএলাহী ঘাট দখলসহ ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তিনি চরবালুয়ার চাঞ্চল্যকর মা-মেয়ে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি।

এ বিষয়ে জানতে বিএনপির সহ-পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে বারবার কল দিলেও তিনি কেটে দেন।

উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার বলেন, দুই পক্ষই আমাদের দলের নেতাকর্মী। তবে তোতার ছেলেদের প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মাদ ফৌজুল আজিম বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং পুলিশ অভিযানে নেমেছে।


আমার বার্তা/জেএইচ