জমজমাট ঝালকাঠির আমড়া বাজার

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

মৌসুম শুরু হতেই জমে উঠেছে ঝালকাঠির আমড়ার বাজার। পানিতে ভাসমান বাজার কিংবা স্থলভিত্তিক আড়ত সবখানেই এখন তাজা আমড়ার সমারোহ।

দেশব্যাপী ‘বরিশালের আমড়া’ নামে পরিচিত হলেও এর বেশিরভাগ যোগান আসে ঝালকাঠি জেলা থেকেই। কৃষি বিভাগ বলছে, উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আমড়ার চাষ।
 
পেয়ারা মৌসুমের শেষে ভাদ্র মাসের শুরুতেই জমতে থাকে আমড়ার বাজার, যা চলে টানা দুই মাস। এ সময়ে সদর উপজেলার ভীমরুলি, শতদশকাঠি, ডুমুরিয়া, আঠারোসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে বসে আমড়ার ভাসমান বাজার। এখান থেকেই নৌপথ ও সড়কপথে আমড়া সরবরাহ করা হয় সারাদেশে।
 
বর্তমানে মৌসুমের শুরুতে প্রতি মন আমড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। দাম ভালো থাকায় খুশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। আমড়াকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান হয়েছে শত শত মানুষের।
 
শতদশকাঠির আমড়া আড়তে কাজ করা শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এ মৌসুমকে ঘিরে অন্তত পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। দিনে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি পাচ্ছেন তারা। আমড়ার মৌসুমে দিনমজুরদের জীবন ভালো কাটে।’
 
স্থানীয় আড়তদার নিখিল হালদার জানান, এ মৌসুমে তিনি প্রায় এক কোটি টাকার আমড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করবেন। এ আয়ে তার সারা বছরের খরচ চলে যায়।
 
রংপুর থেকে আসা পাইকারি ফল ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতি বছরই ঝালকাঠি থেকে আমড়া কিনি। দাম একটু বেশি হলেও স্বাদে ঝালকাঠির আমড়া সেরা।’
 
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় প্রতিবছর আমড়ার চাষ বাড়ছে। এটি দ্রুত পচে না বলে সংরক্ষণ ও ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সুবিধা হয়। এ কারণে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত পরামর্শের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছি। এবছর মৌসুম শেষে কৃষক পর্যায়ে প্রায় তিন কোটি টাকার আমড়া বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’
 
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর ঝালকাঠি জেলায় ৬০২ হেক্টর জমিতে আমড়া ফলন হয়েছে। মৌসুম শেষে উৎপাদন দাঁড়াবে প্রায় ৪ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টন, যা বরিশাল বিভাগের অন্য সব জেলার তুলনায় বেশি।

আমার বার্তা/এল/এমই