গাইবান্ধায় আমনের ক্ষেতে মাজরা ও কারেন্ট পোকার রাজত্ব

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

গাইবান্ধায় মাঠের পর মাঠ চাষ হয়েছে রোপা আমন ধান। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে ধান পাকার আগ মুহূর্তে গাছের কাণ্ড কেটে দিচ্ছে মাজরা ও কারেন্ট পোকা। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, মাজরা ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন এবং কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

গাইবান্ধায় ফসলের মাঠে এখন আধাপাকা আমন ধান। আর কিছুদিন পর কৃষকের ঘরে উঠবে সোনালি ফসল। তবে ধান কাটার আগ মুহূর্তে মাজরা ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকার মাঠে। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে নতুন নতুন ধান ক্ষেত।
 
এতে গাছের কাণ্ড নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি থোকা থোকা শীষ চিটা হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের বুঝে উঠার আগেই শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে ধান গাছ। কৃষকরা বলছেন, চোখের সামনেই নষ্ট হচ্ছে কষ্টের ফসল। যেসব ধানের ক্ষেতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ চালাচ্ছে সেখানে মাত্র ৩-৪ দিনের মধ্যে জমির অধিকাংশ ধান নষ্ট করছে। পোকার আক্রমণে প্রতি বিঘা জমির অর্ধেক পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনও কোনো কার্যকর প্রতিকার মিলছে না। একাধিকবার কীটনাশক ব্যবহার করা হলেও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।
 
জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্ধা গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, হঠাৎ ধানক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ার মাত্র চার দিনের মধ্যে এক বিঘা জমির অধিকাংশ ধান গাছ নষ্ট হয়ে গেছে।
 
একই গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, পোকার আক্রমণে এলাকায় বিঘা পর বিঘা জমির আধাপাকা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করলেও হচ্ছে তেমন সমাধান মিলছে না।
 
কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি আমন মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এসব পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, ক্ষতি ও আক্রান্ত ধান ক্ষেতের পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
 
তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত জমি থেকে গোড়ার পানি বের করা জরুরি। পাশাপাশি বিলিকেটে পাইরাজিন গ্রুপের কীটনাশক পরিমিত ব্যবহার করলে পোকা দমন সম্ভব। দ্রুত জমির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে; যাতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যায়।
 
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে।

আমার বার্তা/এল/এমই