মেসেঞ্জারে গ্রুপচ্যাট নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারধর-ছুরিকাঘাত

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ফেসবুক মেসেঞ্জারে গ্রুপচ্যাটকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে পঞ্চগড়ে সোহান আলী (১৫) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে দলবদ্ধভাবে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা ১২ কিশোরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে। রাতে এ ঘটনায় সোহানের বড় ভাই রশিদুল ইসলাম পঞ্চগড় সদর থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন আগে একটি ফেসবুক গ্রুপে সোহানের সঙ্গে কয়েকজন কিশোরের বাগবিতণ্ডা হয়। সোমবার পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে কয়েকেজন মিলে সোহান আলীকে ঘিরে ফেলে। এ সময় নূর নামের এক কিশোর সাইকেলের ফ্রিহুইল দিয়ে সোহানের মাথায় আঘাত করে। কাইয়ুম নামে আরেকজন কিশোর ছুরি দিয়ে বুকের দিকে আঘাত করতে গেলে সোহান হাত বাড়িয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করে। এতে তার বাম হাতের কবজির রগ কেটে যায়। অন্যান্যরা কিল ঘুষি ও লাথি মারে।

সোহানকে প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে স্থানীয়দের সহায়তায় ১২ কিশোরকে আটক করে বিদ্যালয়ে রাখা হয়। পরে অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষক তাদের উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করেন। পুলিশ এসে তাদের হেফাজতে নেয় এবং হামলায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করে।

আটক কিশোরদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তারা বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট স্কুল, জগদল উচ্চ বিদ্যালয় ও জগদল আলিম মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়ন, জগদল বাজার, খালপাড়া, প্রধানপাড়া, বানিয়াপাড়া ও চেকরমারী এলাকায়।

আহত সোহানের বাবা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই। একই দাবি করেন সোহানের বড় ভাই রশিদুল ইসলাম।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, আটকদের নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমার বার্তা/এল/এমই