অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশের আহ্বায়ক মোস্তফা আমীন আটক
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সারা দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে সমবেত করার চেষ্টা করা সংগঠন অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীনকে আটক করেছে ডিবি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) আমীনকে বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে ডিবি।
এর আগে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় "অহিংস গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশ" নামের এই সংগঠনটি এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সারা দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে সমবেত করার চেষ্টা করে। তবে তা পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংগঠনটি সাধারণ মানুষের কাছে দাবি করেছিল, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত এনে সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। এ আশ্বাসে সাধারণ মানুষ বিশেষত গ্রামের বাসিন্দারা প্রলুব্ধ হন। তাঁরা সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতি ব্যক্তি ১,০০০ টাকা করে রেজিস্ট্রেশন ফিও দেন।
এরপর গত রোববার দিবাগত রাত একটার পর থেকেই বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। রাত ১টা থেকে ভোরে শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছাতে শুরু করেন। অধিকাংশই জানতেন না কী ঘটতে চলেছে, শুধুমাত্র ঋণ পাওয়ার আশায় এসেছিলেন। এতে করে সকাল ৭টা থেকে শাহবাগ এলাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এলাকার পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। পরে শাহবাগ থানার পুলিশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বুঝিয়ে বাড়ি ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
সমাবেশে আসা লোকজন জানান, তাঁদের বলা হয়েছিল সমাবেশে অংশগ্রহণ করলে এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে ১,০০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি নেওয়া হয়েছে।
এক অংশগ্রহণকারী বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, এই ঋণ পাওয়া আমাদের জীবনের বড় সুযোগ। তাই রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েছি এবং এতদূর এসেছি।
শাহবাগ থানা যুবদলেন এক নেতা বলেন, আমরা বেশ কিছু গাড়ি ফেরত পাঠিয়েছি। যারা এসেছে তারা গ্রামের খুবই সাধারণ মানুষ। তাদেরকে ১ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যাপ্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালিদ মুনসুর বলেন, “অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ” নামে সংগঠনটি জমায়েতের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু তাদের কার্যক্রম সন্দেহজনক হওয়ায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা বেশ কিছু লোককে থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই-বাছাই করছি। অনেক নিরীহ লোকজনও আছে। তাই যাচাই-বাছাই করে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আমার বার্তা/এমই