অনুমতির ১০ দিন পরও ডিম আসেনি
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক
অনুমতি পাওয়ার পর ১০ দিন অতিবাহিত হলেও দেশে আসেনি আমদানি করা ডিম। শুরুতে এক সপ্তাহের মধ্যে আমদানির কথা বললেও এখন গড়িমসি করছেন আমদানিকারকরা। অভিযোগ, সরকারি দপ্তরগুলোতে মিলছে না দ্রুত সেবা। তবে ঋণপত্র ও ডলার নিয়ে কোনও জটিলতা নেই বলে জানান তারা।
ডিমের বাজারে অস্থিরতা চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। কখনও উৎপাদন ব্যয় আবার কখনও বা ঘাটতির অজুহাতে প্রতি ডজনের জন্য গুণতে হয়েছে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। যদিও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ( বিবিএস) তথ্য আমলে নিয়ে বছরে উদ্বৃত্ত থাকার কথা অন্তত ৬০০ কোটি পিস।
তবু কয়েক দফা হুঁশিয়ারির পর বাজার নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে দুই ধাপে অনুমোদন দেয়া হয় ১০ কোটি পিস আমদানির। সপ্তাহখানেকের মধ্যে বাজারে আনার তোড়জোড়ও শুরু করে বেশ কয়েক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ১০ দিন পার হলেও এ নিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না কেউই।
মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী এস কে আল মামুন আহমেদ বলেন, আমরা হরিয়ানা, আগরতলা ও হায়দরাবাদ থেকে ডিম আনার চেষ্টা করছি। আশা করছি, শিগগিরই তা আসবে। উভয় পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে কথা চূড়ান্ত। আমাদের রপ্তানি ঠিক আছে। ফলে ডলার সংকট নেই। দ্রুত দেশে ডিম আসবে।
সরকারি নির্দেশনায়, প্রতিটি ডিম বিক্রি হওয়ার কথা ১২ টাকায়। কিন্তু সেই দামে মিলছে না বাজারে। অন্যদিকে পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, মুরগির খাবারের দর বেশি হওয়ায় লাগাম টানা যাচ্ছে না উৎপাদন ব্যয়ে। এমন অবস্থায় আমদানি বন্ধের উদ্যোগও চায় সংগঠনটি। এই পরিস্থিতিতে লাভ-লোকসানের হিসাব মেলাতে গিয়ে আমদানিতে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে না অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো।
টাইগার ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সাইফুর রহমান বলেন, চলতি সপ্তাহেই ডিম আনার চেষ্টা করছিলাম আমরা। কিন্তু মাঝখানে সরকারি ছুটি পড়ে গেলো। ফলে তা সম্ভব হলো না। আশা করছি, আগামী সপ্তাহে চলে আসবে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, সরকারের নির্দেশ না মানলেও কোনও সমস্যা হয় না। মাত্র হাজারখানেক টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে, বাজার চড়া থেকে যাচ্ছে। নতুন নির্দেশনা দেয়ায় এই সমস্যা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত আমদানির অনুমোদনপত্র পেয়েছে ২টি প্রতিষ্ঠান। আর এখনও আবেদনই করেনি ৪ প্রতিষ্ঠান।
এবি/জেডআর