‘ব্যাচেলরদের খাবার’ ডিমও এখন নাগালের বাইরে

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৫:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

  জামিল হোসেন

আমিষের চাহিদা পূরণে ডিমের বিকল্প নেই। সরল খাবার পদ্ধতি, সহজলভ্যতা ও দাম কম হওয়ার পুষ্টির চাহিদা পূরণে ডিম বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। বিশেষ করে রাজধানীসহ সারাদেশে একে ব্যাচেলরদের ‘জাতীয় খাবার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে ডিমের বাজারে গত কয়েকদিনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই ডিমও ব্যাচেলরসহ সাধারণ মানুষের নাগালে বাইরে চলে গেছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে প্রতি হালি মুরগির ডিম ৫৫ এবং ডজন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

মুদি দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারে পাইকারি কিছু দোকানি ১৪০-১৫০ টাকা ডজন বিক্রির কথা জানিয়েছেন। আর প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। তবে পিস হিসেবে দোকানিরা ১৪ বা ১৫ টাকা করে বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে।

তেজগাঁও তেজকুনি পাড়া মুদি দোকানি ফরিদ মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। আগে ৫৫ থেকে শুরু করে ৬০ টাকা হালিও বিক্রি করেছি। এখন ৫০-৫৫ টাকা হালি বিক্রি করছি। তবে একটা করে ডিম নিলে ১৪ টাকা রাখা হচ্ছে।

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, ‘এটা তো আসলে আমরা ঠিক বলতে পারি না। পাইকাররা আমাদের যে দাম বলে আমরা সেই দামেই বিক্রি করি।’

মগবাজার চারুলতা মার্কেটের ডিম বিক্রেতা জাহিদুল বলেন, ‘আমার এখানে এক দুইটার খুচরা কারবার নাই। সর্বনিম্ন হালি বা ডজন হিসেবে বিক্রি করি। হালি ৫৫ টাকা আর ডজন ১৫০ টাকায় বিক্রি করছি।’

এদিকে ডিমের দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। সুমি নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘ডিমটা তো একদম নিয়মিত খাবারের মধ্যে একটা। বাসায় বাচ্চা আছে। আমি আর আমার স্বামী নিয়মিত না খেলেও বাচ্চাদের সকাল সন্ধ্যায় একটা করে ডিম খেতে দিই। এখন দাম এত বেশি যে, মাসের শেষে এটা চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছি।’

নুরুল ইসলাম নামে অপর এক ক্রেতা বলেন, ‘ব্যাচেলর বাসায় মাসের শুরু ও শেষে খাবার বলতে আলু ভার্তা আর ডিম। কারণ এসময় মিলে জমা টাকা থাকে না। কিন্তু এখন এটা মাছ-মাংসের থেকেও দামি হয়ে গেছে। মাছ মাংসের পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখাটাও কষ্টকর হয়ে গেছে।


আমার বার্তা/জেএইচ