সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি বানিজ্য চিরতরে বন্ধ ও বিগত সময়ে সৃষ্ট চরম পদোন্নতি বৈষম্যদূরীকরনের দাবি
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি:
সোনালী ব্যাংক এর পদোন্নতি বানিজ্য চিরতরে বন্ধ করণ ও বিগতসময়ে সৃষ্ট চরম পদোন্নতি বৈষম্যদূরীকরনের দাবি জানানো হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকে ১৯৯৪, ১৯৯৫,১৯৯৮ ও ২০০০ সালে সিনিয়র অফিসার ও অফিসার পদে যোগদানকারী কর্মকর্তাগণ পদোন্নতি বৈষম্যদূরীকরনের দাবিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থউপদেষ্টার কাছে আবেদন জানিয়েছেন কর্মকর্তাগন।
দাবিতে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক এ যোগদানকারী এই চার ব্যাচের কর্মকর্তাগণ বর্তমানে ২৪হতে৩০বছর চাকরিকাল অতিক্রম করেছেন। সুদীর্ঘ চাকরিকাল অতিক্রম করেও তাদের অনেকেই ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পদে পদোন্নতি পাননি। অপরদিকে বিগত সরকারের আমলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মৌখিক পরীক্ষার আড়ালে দুর্নীতি ও প্রমোশন বাণিজ্য করে ২০০৪ সালে সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগদানকারীদের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পদে পদোন্নতি দিয়েছেন।এতে সিনিয়র কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারা পদোন্নতিতে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ব্যাংক স্বার্থেই এ বৈষম্য নিরসন করা প্রয়োজন মর্মে ও তাদের আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
সোনালী ব্যাংকে ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে সিনিয়র অফিসার ও অফিসার পদে যোগদানকারী কর্মকর্তা গণপদোন্নতি বৈষম্যদূরীকরনে নিম্নোক্ত দাবীসমূহ বাস্তবায়নের জন্য অন্তবর্তীসরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টার কাছে দাখিলকৃত আবেদন পত্রে জোর দাবী জানিয়েছেন।
তারা বলেন, সোনালী ব্যাংক পিএলসি হতে পদোন্নতি বানিজ্য চিরতরে বিদায় করার লক্ষ্যে প্রহসনমূলক ১৪ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণ প্রথা বাতিল করতে হবে।
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় যে সকল কর্মকর্তা/নির্বাহী কনিষ্ট কর্মকর্তা/নির্বাহীগণ কর্তৃক পদোন্নতির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংক বা বিসিএস ক্যাডারভূক্ত কর্মকর্তাগনের ন্যায় পদোন্নতি নীতিমালা অনুসরণে ভূতাপেক্ষ পদ্ধতি গণনায় সিনিয়রিটিসহ পদোন্নতি প্রদান ও বকেয়া আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে হবে।
আমার বার্তা/জেএইচ