ই-পেপার শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১

রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে: এডিবি

আমার বার্তা অনলাইন:
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৭

চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রবৃদ্ধি কমলেও মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে বলে তাদের পূর্বাভাস।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এডিবি।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটি তাদের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। এর আগে গত এপ্রিলের পূর্বাভাসে তারা বলেছিল, প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। অর্থাৎ এক ধাপে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়েছে এডিবি। গত এপ্রিলে এডিবি বলেছিল, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে। কিন্তু এখন এডিবি বলছে, তা হবে না। বরং মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। এর মানে, এ বছরও দেশের সাধারণ মানুষকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।

গত জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক বন্যার প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে এডিবি। এই দুই প্রভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতি কমবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

রাজস্ব ও আর্থিক নীতিতে কঠোরতা আছে, তা অব্যাহত থাকবে বলে এডিবির ধারণা। এ ছাড়া ক্রয় ও বিনিয়োগ আরও কমবে। নেতিবাচক ঝুঁকি থাকায় সামষ্টিক অর্থনীতির পূর্বাভাস অত্যন্ত অনিশ্চিত। চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা হলো এসব ঝুঁকির উৎস।

এডিবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরগতি ও অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে চাহিদা কমবে। পণ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া এবং টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় মূল্যস্ফীতির হার বাড়তি। তবে আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে বলেও জানিয়েছে এডিবি। সংস্থাটির পূর্বাভাস, মূল্যস্ফীতির হার আবার দুই অঙ্কের ঘরে উঠতে পারে।

রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, সুদ ও টাকার বিনিময় হার যথাযথ নীতির মাধ্যমে স্থিতিশীল করা এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের ওপর সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে বলে মনে করছে এডিবি।

ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক হিসাবের ওপর চাপ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও বেসরকারি বিনিয়োগের ধীরগতির কারণে গত দুই অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশের নিচে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

শেখ হাসিনা সরকারের পূর্বাভাস ছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলমান চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদেরা একে ‘উচ্চাভিলাষী’ আখ্যা দিয়েছিলেন।

গত সরকারের আমলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে অর্থনীতিতে বড় সাফল্য হিসেবে দেখিয়েছে। কিন্তু কোভিড শুরু হওয়ার পর থেকে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের বেহাল দশা শুরু হয়। অর্থনীতিবিদেরা তৎকালীন সরকারের দেখানো পরিসংখ্যানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

>> মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি

দুই বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। সাধারণ সীমিত আয়ের মানুষকে চড়া দামে বাজার থেকে পণ্য কিনতে হচ্ছে, যা তাঁদের কষ্ট বাড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগস্ট মাসে দেশের মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। তবু এখনো মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে আছে। খাদ্যের মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১১ শতাংশের মতো আছে।

এ ছাড়া গত জুন পর্যন্ত আগের এক বছরের প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৯ শতাংশের আশপাশে ছিল।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এক বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে। মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়।

আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই বাজারের জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির এ চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।

আমার বার্তা/এমই

অনলাইনে ১৮ দিনে ৩৪ হাজার আয়কর রিটার্ন দাখিল

রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজ করতে করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে অনলাইন রিটার্ন বা

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে টেকসই ও কার্যকর পরিকল্পনা দেবে টাস্কফোর্স

ঘাটতি চিহ্নিত করে টেকসই ও কার্যকর পরিকল্পনা দেবে টাস্কফোর্স। এক্ষেত্রে বর্তমান লিকেজগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে রাজি ১০ ব্যাংক

আর্থিক অনিয়মের কারণে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে ১০টি ব্যাংক। তাদের এই

তিন মাসে দেশে নতুন কোটিপতি বেড়েছে ৩ হাজার

দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকা রয়েছে, এমন হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। বিশেষ করে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছাড়াল ৭০০

২৭ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

ড. ইউনূসের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব

নতুন যাত্রায় মার্কিন ব্যবসায়ীদের অংশীদারত্ব চান ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের পদোন্নতিপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রাক্তন স্বাচিপ সম্পাদক

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮২৯

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস

মাধ্যমিক স্কুলে এবারও ভর্তি লটারিতে

৪৩তম বিসিএস থেকে সহকারী শিক্ষক হলেন ১৪৩ জন

ভারতীয় নেতাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে আহ্বান

রাষ্ট্রীয় স্বার্থে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে বাংলাদেশ

সেনাপ্রধানের সঙ্গে নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিমের বাবা-মার সাক্ষাৎ

অনলাইনে ১৮ দিনে ৩৪ হাজার আয়কর রিটার্ন দাখিল

দেশ-জাতিকে এগিয়ে নিতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য দরকার: জামায়াত আমির

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জাপা কী করেছে, জানালেন জিএম কাদের

বাংলাদেশ-সহ ৭ দেশের তরুণ-তরুণীদের জন্য নতুন উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন উদ্যমে কাজ করতে হবে

গেন্ডারিয়ায় দেয়াল ধসে দোকান কর্মচারী নিহত

আগামী ৫ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচন হতে পারে: রাবি ভিসি