হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অর্ধেকেরও কম ব্যয় নিয়ে উঠছে একনেকে

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

‘চট্টগ্রামে কর ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি প্রথমে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবের সময় এর ব্যয় ছিল ১ হাজার ৫২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের কাটছাটের ফলে প্রকল্পটি মাত্র ৪৩৭ কোটি ব্যয় নিয়ে একনেক সভায় উত্থাপিত হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ মূল প্রস্তাবিত ব্যয় হাজার কোটি টাকার বেশি হলেও অর্ধেকেরও কম ব্যয় নিয়ে একনেকে যাচ্ছে প্রকল্পটি।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। একনেকে অনুমোদনের পর ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের রাজস্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আদায় হয় দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরী ও শিল্প এলাকা চট্টগ্রাম থেকে। কিন্তু সেখানে রাজস্ব কার্যক্রম পরিচালনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কোনো নিজস্ব অফিস বা ভবন নেই। বর্তমানে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আয়কর আদায়ের সকল কর্মকাণ্ড বিভিন্ন ভাড়া বাসা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এ কারণে প্রতিদিন প্রচুর দাপ্তরিক নথি এক অফিস থেকে অন্য অফিসে আনা নেওয়া করতে হয়। আর নিজস্ব কোনো স্থাপনা না থাকায় নথিপত্র ও অফিস ইক্যুইপমেন্টের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক ধরনের অনিশ্চয়তা থেকে যায়। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের দাপ্তরিক অনুষ্ঠান বা সেমিনার আয়োজনের জন্য হলরুম ভাড়া করতে হয়। এতে সরকারি অর্থের ও সময়ের অপচয় ঘটে। এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে এনবিআরের কাজের গতি বৃদ্ধি, উন্নত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি ও করদাতাদের অধিকতর সেবা দেওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সেখানে একটি আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন কর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

একনেক সারসংক্ষেপে দেখা গেছে, জাতীয় বাজেটের অর্থ যোগানের প্রধান উৎস অভ্যন্তরীণ রাজস্ব। আর এ খাতে আয়করের অবদান অপরিসীম। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন এনবিআর রাজস্ব আহরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ একক সংস্থা। এখানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর) ক্যাডারের কর্মকর্তা রাজস্ব আহরণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের মোট রাজস্ব আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আদায় হয়। যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হলে এ অঞ্চল থেকে বর্তমানের দ্বিগুণ পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুমুখী সুবিধা সম্বলিত কমপ্লেক্স নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর আহরণ জোরদার করা হলে তা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সোলেমান খান বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির আওতায় চট্টগ্রাম কর বিভাগের জন্য বহুমুখী সুবিধা সম্বলিত কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর আহরণ কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সেই সাথে ডাটা সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করা হবে।


আমার বার্তা/জেএইচ