আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:
আসন্ন রোজায় দ্রব্যমূল্য বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, দেশে আমদানি ব্যবস্থা ও মজুত যথেষ্ট আছে। ইনশাআল্লাহ রমজান উপলক্ষে কোনো সমস্যা হবে না। তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের কোনো সংকট বাজারে নেই।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে খাদ্য পণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের যে দাম দেখি দেশের বাজারে তাতে দাম কমার কথা। দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখি না।
খাদ্য পণ্যের যৌক্তিক মূল্য কি হতে পারে তা নিয়ে আজ অনেক আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এগুলো কীভাবে কর্মে পরিণত করা যায় তা নিয়ে স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে। ভোক্তাকে প্রকৃত সাহায্য করার জন্য নীতি প্রণয়ন দরকার বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাজারের সঠিক প্র্যাকটিস নিশ্চিত করার জন্য প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আছে, আছে ব্যবসায়ী পরিসর বাড়নোর জন্য টিসিবি। সর্বোপরি, বাজারকে ভোক্তার জন্য সহনীয় করতে ট্যারিফ কমিশন এবং এনবিআর কাজ করছে। এ সময় তিনি স্থানীয় উৎপাদক, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের বাজারকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার আহ্বান জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বছরে ৫-৬ লাখ টন রাইস ব্রান অয়েল ভারতে চলে যেত। রাইস ব্রান অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। আমরা এটার রপ্তানি কঠিন করে দিয়েছি। অলরেডি ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স ইম্পোজ করা হয়েছে। এ তেল বাজারে এলে বর্তমানের চেয়ে তেলের বাজার আরও স্থিতিশীল হবে। বোতল তেল ও খোলা তেলের ভেতর কোনো পার্থক্য নেই, একমাত্র পার্থক্য দাম। বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিযোগিতা কমিশনকে স্বাধীন করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের নীতিগুলো ধনিক শ্রেণির সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে, সাধারণ মানুষের জন্য নয়। গত ১৫ বছরে দেশে বড় কোনো বিনিয়োগ হয়নি, ফলে কর্মসংস্থানও বাড়েনি। বিনিয়োগ না বাড়ে ট্যাক্স কালেকশন কীভাবে বাড়বে প্রশ্ন রাখেন উপদেষ্টা।
ব্যাংকগুলোকে অপরাধ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক, টিসিবি ধ্বংস করা হয়েছে। টিসিবির তালিকায় ৪৩ লাখ ভুয়া উপকারভোগী পাওয়া গেছে, যা আরও যাচাই করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা।
আমার বার্তা/এমই