শিল্পে দ্রুত গ্যাস সংযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত: ফাওজুল কবির

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৫২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান

গ্যাস পেলেই উৎপাদনে যেতে পারবে এমন শিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই লোডবৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে গ্যাসের সিস্টেম লস হ্রাস সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

তিনি আরও বলেছেন, গ্যাসের প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে গ্রাহকের সংযোগ কার্যকর ও নতুন সংযোগের অনুমোদন দিতে হবে। আগে আবেদন করলে আগে ভিত্তিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইপিজেড, বিসিক শিল্পনগরীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ প্রদান করতে হবে।

রাজস্ব বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন গ্যাস সংযোগ ও লোডবৃদ্ধির কার্যকর করতে হবে। এতে কি পরিমাণ রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে তার হিসাব নিরূপণ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বিইআরসি নির্ধারিত ট্যারিফে পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলে অগ্রাধিকার এবং পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলের বাইরের বিষয়ে রপ্তানিমুখী শিল্পে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয় হকে নতুন পরিপত্র জারিকরার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।

জ্বালানি সাশ্রয়ী স্থাপনায় গ্যাস সংযোগ প্রদান, ডিসেম্বর ২০২৬ সালের পরিবর্তে জুন ২০২৬ সালের মধ্যে সিস্টেম লস অর্ধেকে নামিয়ে আনা, আগামী ৩১ মে তারিখের মধ্যে পাইপলাইনরে সকল লিকেজ মেরামত নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন উপদেষ্টা।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান অব্যাহত রাখা এবং বকেয়া পরিশোধের জন্য সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পত্র প্রেরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

সভায় উত্থাপিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গ্যাসের সিস্টেম লস কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাফল্য পেয়েছে কোম্পানিগুলো। ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো যার যার লক্ষ্যমাত্রা পুরণে সক্ষম হয়েছে। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সিস্টেম লস ৪ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।

সঞ্চালন ও বিতরণগুলোর ফেব্রুয়ারি মাসের সিস্টেম লসের পরিসংখ্যান সভায় তুলে ধরা হয়। এতে দেখা গেছে সর্ববৃহৎ বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাসের ফেব্রুয়ারি মাসের সিস্টেম লস ৯.২০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবেই অর্জন করেছে কোম্পানিটি। তিতাস গ্যাসের জানুয়ারি মাসে সিস্টেম লস ছিল ১০.৫৩ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারি মাসে ৯.২১ শতাংশে নেমে এসেছে।

অন্যদিকে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি জানুয়ারি মাসে সিস্টেম লস ছিল ১৩.৬০ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে ১১.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও তারা ৯.৪৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিতরণের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ৪.৬০ শতাংশ থেকে ২.৫৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

একমাত্র সঞ্চালন কোম্পানি জিটিসিএল জানুয়ারি মাসে লোকসান দিয়েছে ২.২৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিটি ১.১৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিক সিস্টেম লস দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশে। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এই লোকসান অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আমার বার্তা/এমই