দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্চেন্ট পাওয়ার পলিসি: বিইআরসি চেয়ারম্যান

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

মার্চেন্ট পাওয়ার প্লান্ট পলিসি দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুমোদিত হবে। তখন চট্টগ্রামের কেউ চাইলে দিনাজপুরের গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

রোববার (২০ এপ্রিল) সামরিক জাদুঘরে সবুজ জ্বালানি অলিম্পিয়াড তিনি মন্তব্য করেন। বিডব্লিউবজি ও ক্লিন এর যৌথ উদ্যোগ দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের ১৫০টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৯০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

প্রতিযোগিতাটি ছয়টি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান, বিশ্লেষণ এবং যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। তাদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন, রানার আপসহ শীর্ষ ৫০জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

বিইআরসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, মার্চেন্ট পাওয়ার প্লান্ট পলিসি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে অনেক ভূমিকা রাখবে। এর আওতায় কোন উদ্যোক্তা নিজের উৎপাদিত বিদ্যুৎ তৃতীয়পক্ষের কাছে বিক্রির সুযোগ পাবেন। জাতীয় গ্রিড ব্যবহার করে দেশের যে কোন প্রান্তে বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে উদ্যোক্তারা বাজার খুজে নিতে পারবেন, আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

তিনি আরও বলেন, নবায়নযোগ্য বলতে আমরা সোলারকে বুঝে থাকি। কিন্তু আমাদের কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে একটি কোম্পানি। তারা নতুন করে আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করছে। তার অর্থ হচ্ছে খাতটি সম্ভাবনাময়।

তিনি বলেন, আমার প্রোফাইলে দেখবেন আমি একজন ফটোগ্রাফার। আমি মাঠে ঘাটে থাকি পাহাড়ে থাকি, প্রতিবছর একই জায়গায় যাচ্ছি, জায়গাগুলোর পরিবর্তন দেখতে পাই, আমরা ধ্বংস করছি পরিবেশ ও প্রতিবেশকে। আমি হাওরাঞ্চলের বাসিন্দা, আগে হাওরে গেলে যে পরিমাণ পাখির দেখা মিলতো এখন আর দেখা যায় না। আমাদের দায়িত্ব পৃথিবীটাকে সুন্দর রেখে যাওয়া।

তিনি বলেন, আমরা যখন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেই তখন বৈষম্যের প্রশ্ন এসেছিল, আমি জবাব দেইনি। আমি মনে করে সুযোগ সৃষ্টি করবে। বিকল্প যদি সহজলভ্য হয় তাহলে লোকজন সেদিকে যাবে। ভারতে ৪ থেকে ৫ সেন্টসে সৌর বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। তাদের সরকার জমি ও সঞ্চালন লাইন করে দিচ্ছে। আমরা জমি দিতে না পরলে ৭ থেকে ৮ সেন্টস হওয়া উচিত।

২০২৬ সালের মধ্যে সকল গার্মেন্টে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসবে। এটা করতে পারলে বড় অগ্রগতি হবে। ৭৫ টাকায় গ্যাস আমদানি করে ১২-১৭ টাকায় বিক্রি করা কোনোভাবেই টেকসই সমাধান নয়। এর চেয়ে অনেক বেশি টেকসই ও ব্যয়সাশ্রয়ী হবে যদি আমরা সৌরবিদ্যুতের দিকে যেতে পারি। গ্রিন এনার্জি নিয়ে তরুণদের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এখন সময় এসেছে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে যথার্থ গুরুত্ব দেওয়ার।”

পাওয়ার সেলের উপ-পরিচালক সেলিম উল্লাহ খান বলেন, গ্রিন এনার্জিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির যে টাগের্ড ছিল অর্জন করতে পারিনি। তবে সরকার আর ফসিল ফুয়েলের নতুন কোন প্রকল্প নিচ্ছেনা। শুধু সংস্কার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুল আলম বলেন, সোলার হোমস সিস্টেমে আমরা বিশ্বে রেকর্ড করেছিলাম। চাহিদা এখন আরও বেড়ে গেছে। সোলার প্যানেল সবচেয়ে সাশ্রয়ী অবস্থায় চলে এসেছে। পনের বছর আগে যার দাম ছিল ১ ডলার এখন সেটি কমে ৯/১০ সেটসে চলে এসেছে। আমাদের বিনিয়োগের সমস্যা নেই।

সঞ্চালনা করেন উপকূলীয় জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ কর্মজোর্টের (ক্লিন) প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি ভবিষ্যৎ কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রশ্ন নয়, এটি ন্যায্যতা, পরিবেশ এবং প্রজন্মান্তরের নিরাপত্তার প্রশ্ন। এখনই সময়, বিদেশনির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে এসে স্থানীয় ও টেকসই উৎসকে কেন্দ্র করে ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাওয়ার। জ্বালানি সেক্টরে তরুণদের স্বতঃস্ফুর্ত সম্পৃক্ততা এখন অতীব আবশ্যক।

সাফল্যের ৭ বছরে পা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিউটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চারদিকে। ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর হাতিরপুলস্থ চারদিকের প্রধান কার্যালয়ে এক আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়। আনন্দ উৎসবে চারদিকের সকল স্তরের কর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন।

আনন্দ উৎসবে চারদিকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সরওয়ার কামাল প্রতিষ্ঠানের সবাইকে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে চারদিকের চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) আল জাবের ফয়সাল, জেনারেল ম্যানেজার সৌমেন দেব বর্মন, হেড অফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নেওয়াজ নাসিম উপস্থিত ছিলেন।

সরওয়ার কামাল তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে এখনো আমাদের ইমপোর্টেড কসমেটিকসের উপর নির্ভর করতে হয়। ই-কমার্সের পাশাপাশি চারদিকে আগামী বছরের মধ্যে নিজস্ব ব্র্যান্ডগুলোকে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যেতে চায়। সেই লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ান মার্কেটে বাংলাদেশী ব্র্যান্ডকে প্রমোট করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালে মাত্র ৩ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে চারদিকে। বর্তমানে যা দেড়শ কর্মীবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় বিউটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ^খ্যাত কসমেটিকস ব্র্যান্ড স্কিনফুড এবং জিফোর্সের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে প্রসাধনী সামগ্রি বাংলাদেশে বাজারজাত করছে চারদিকে। পাশাপাশি ২০২৪ সালে নিজস্ব স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড স্কিনো এবং ইনসেই-এর বাজারজাত শুরু করেছে চারদিকে। সম্পূর্ণ নিজস্ব এবং দেশীয় স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড স্কিনো এবং ইনসেই ইতিমধ্যে ক্রেতাদের মধ্যে শক্ত জায়গা তৈরি করেছে।


আমার বার্তা/এর/এমই