শাটডাউন প্রত্যাহারে বন্দরে-বন্দরে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ১১:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দুই দিনের শাটডাউন প্রত্যাহারের পর আবারও কাজে ফিরেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে দেশের স্থলবন্দরগুলোতে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য, সচল হয়েছে আমদানি-রফতানি ও পণ্য খালাস কার্যক্রম।
রোববার (২৯ জুন) রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষ আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
সংগঠনের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং দেশের আমদানি-রফতানি ও সরবরাহব্যবস্থা সচল রাখা তথা অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। তবে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার আন্দোলন চলবে।
কর্মসূচি প্রত্যাহার করায় আবারও সচল হয়েছে দেশের স্থলবন্দরগুলো। কাজে যোগ দিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এতে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যতা।
বেনাপোল স্থলবন্দর
সোমবার (৩০ জুন) সকাল থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেয়ায় ভারতের পেট্রাপোলের সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। ফলে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দেয়ায় বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি পুনরায় শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ে ব্যবসায়ীরা যাতে পণ্য খালাস নিতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর
সোমবার সকাল থেকে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগ দেয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। কর্মকর্তারা শুল্ক স্টেশনের কাজ চালু করার সঙ্গে সঙ্গে বন্দরে আটকে থাকা আমদানিকৃত পণ্যের বিলঅবএন্ট্রি সাবমিট থেকে শুরু করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও শুল্কায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এতে আমদানিকারক এবং সিআ্যন্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। একই সঙ্গে বন্দরের ভিতরে পণ্য লোড-আনলোডের কাজও সচল হয়েছে।
তবে এখনো বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য পুরোপুরি শুরু হয়নি; সাধারণত দুপুর ১২টার পর থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়ে থাকে।
এর আগে শনিবার থেকে রোববার পর্যন্ত দুই দিনের শাটডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছিল বেনাপোল বন্দরসহ দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশন। এতে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
আমার বার্তা/এল/এমই