টাকা দিন, ব‍্যবসা করে ফেরত দিব: এসআইবিএল উদ‍্যোক্তা পরিচালক

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

গত বছর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব‍্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে অর্থকষ্টে পড়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব‍্যাংক। তবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) উদ্যোক্তা শেয়ারধারীরা ব্যাংকটিকে অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না করে তাঁদের হাতে পরিচালনার দায়িত্ব দিতে জোর দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসআইবিএলের উদ্যোক্তা শেয়ারধারী, সাধারণ বিনিয়োগকারী ও গ্রাহকেরা সরকারের কাছে এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মেজর (অব.) এম রেজাউল হক বলেন, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এই ব্যাংক দখল করা হয়েছিলো। এখন আবার সরকারি খাতে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের অপরাধ কি। কোনোভাবেই আমাদের ব্যাংক নিয়ে নেওয়া যাবে না। আমরা আদালতে রিট করেছি, সেই রিটের নিস্পত্তি করে আসতে হবে। অন্যদের হাতে দেওয়া যাবে না।

ব্যাংকটির উদ্যোক্তা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা ব্যাংক চালাতে না পারলে, অন্যরা পারবে কিভাবে। আমরাই এই ব্যাংক চালাবো। তিনি বলেন, এটা আমাদের সম্পদ। তিনি প্রশ্ন রাখেন যে সরকার কি একজনের বাড়ি, ঘর নিয়ে নিতে পারে? তাহলে আমাদের ব‍্যবসা নিবে কেন? 

সাবেক পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা এই ব্যাংক করেছি। প্রবাস থেকে দেশে অর্থ এনে এটা প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন সরকারিকরণ করা হবে কেন।

রেজাউল হক বলেন, অযৌক্তিক একীভূতকরণের পরিবর্তে বর্তমান অনভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা উচিত। প্রয়োজনে কিছু দেশি ও বিদেশি নতুন বিনিয়োগকারীকেও পরিচালনা পর্ষদে সম্পৃক্ত করা হবে, যাতে ব্যাংক সত্যিকারের অর্থে পুনরুজ্জীবিত হয়।

ব্যাংকের পুনর্গঠন পরিকল্পনা:

সংবাদ সম্মেলনে উদ্যোক্তারা ব্যাংকের কয়েকটি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন:

  • বাংলাদেশের খ্যাতনামা ব্যবসায়িক গ্রুপ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ত করে ব্যাংকের তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
  • ব্যাংকের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক—১৮১টি শাখা, ২৪০টি উপশাখা ও ৩৭০টি এজেন্ট আউটলেটে কার্যক্রম জোরদার করা।
  • বৈদেশিক মুদ্রার (রেমিট্যান্স) প্রবাহ বাড়িয়ে ব্যাংককে বিদেশে কর্মরত জনশক্তির আস্থার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
  • ব্যাংকের জনশক্তিকে পুনর্বিন্যাস করে বিপণন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা, দক্ষ জনশক্তিকে যথাযথ স্থানে পদায়ন করা।
  • সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২২টি কালেকশন অ্যাকাউন্ট পুনঃসক্রিয় করে নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি।
  • সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এসআইবিএলের উদ্যোক্তাদের মধ্যে জাবেদুল আলম চৌধুরী, আবদুর রহমান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।


আমার বার্তা/এমই