জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলছে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। দেয়ালে ফাটল, ছাদ চুয়ে পানি পড়া এবং পলেস্তারা খসে পড়ায় যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তা ও যাত্রীরা। প্রতিদিন শত শত যাত্রী এই চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাতায়াত করেন, কিন্তু ভবনের বেহাল অবস্থার কারণে তারা চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন।

পাসপোর্ট যাত্রী মহসিন আলী বলেন, ‘হিলি চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেন। কেউ চিকিৎসার জন্য, কেউ ব্যবসা বা পড়াশোনার কাজে যান। কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ এই চেকপোস্ট এখন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
 
স্থানীয় বাসিন্দা সবুজসহ আরও কয়েকজন জানান, ভবনের বহু জায়গায় ফাটল ধরেছে, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে এবং বৃষ্টির সময় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। ভেতরে বসে কাজ করা কিংবা অপেক্ষা করা দুটোই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। তবুও বিকল্প না থাকায় কর্মকর্তা থেকে যাত্রী সবাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করছেন।
 
আরেক যাত্রী সুকুমার বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যান্য ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের তুলনায় হিলি অনেক পিছিয়ে। এখানে পর্যাপ্ত বসার জায়গা নেই, নেই সিসি ক্যামেরার মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চারপাশে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে সারাক্ষণ। আমরা চাই, ভবনটি দ্রুত সংস্কার করা হোক এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হোক।’
 
হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনটি প্রায় ২৭ বছর আগে নির্মিত। এর পাশ দিয়েই অতিরিক্ত লোডের ভারতীয় ট্রাক চলাচল করে, পাশাপাশি পাশেই রেললাইন। এসব কারণে ভবনের কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে।’
 
তিনি আরও জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফোরলেন সড়ক নির্মাণের জন্য ইমিগ্রেশন ভবনের অংশবিশেষ অধিগ্রহণ করে, যার ফলে সংস্কার কার্যক্রম বিলম্বিত হয়। তবে ইতোমধ্যে উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার নতুন নকশা তৈরি করে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছেন। অনুমোদন পেলেই সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানান তিনি।

আমার বার্তা/এল/এমই