বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ
পোলিশ ব্র্যান্ড এলপিপি এস.এ.র সাথে বিজিএমইএ’র বৈঠক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:২২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এস.এ. (LPP S.A.) বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং আরও বৃদ্ধি করার গভীর আগ্রহ জানিয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিজিএমইএ’র উত্তরা কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে এলপিপি’র প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা এ বিষয়ে তাদের ইতিবাচক অবস্থান তুলে ধরেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা এবং পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম।
এলপিপি এস.এ. প্রতিনিধিরা জানান, তারা বাংলাদেশ থেকে বিশেষভাবে আউটারওয়্যার, হেভি নীট, মেনস আন্ডারওয়্যার এবং জগার্সসহ বিভিন্ন পণ্যের সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে আগ্রহী এবং এ ক্ষেত্রে বিজিএমইএ’র সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায়।
বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব, সাপ্লাই চেইনের স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি এসএমই কারখানাগুলোকে আরএসসি’র আওতায় এনে সরাসরি রপ্তানির সুযোগ তৈরি করার বিষয়েও মতবিনিময় হয়।
বর্তমানে এলপিপি এস.এ. বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক সংগ্রহ করে এবং দেশটিকে তাদের বৃহত্তম সোর্সিং হাব হিসেবে বিবেচনা করে।
জোয়ানা সিকোরস্কা বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সোর্সিং হাব। আমরা এখানে আমাদের ব্যবসায়িক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী এবং সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কাজ চালিয়ে যাব।” তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ও দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক চর্চার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য এলপিপি এস.এ. একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা। তাদের সোর্সিং বৃদ্ধি উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে। বাংলাদেশি কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মান ও কমপ্লায়েন্স বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বৈঠকের শেষে উভয়পক্ষই বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের সঙ্গে এলপিপি এস.এ.’র দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে একমত পোষণ করে।
আমার বার্তা/এমই
