শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৯:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।

আগামীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। 

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে আজ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) আয়োজিত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আমরা জাতিকে জানাতে চাই, শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছি। তারা আগামী প্রজন্মকে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলবে।’

সি আর আবরার বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে যারা সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ও নির্দিষ্ট বিষয়ের উপযুক্ত তাদের তথ্য ডিজিটালি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আশা করি, শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়ার এ ডিজিটাল রূপান্তর আগামী দিনগুলোতে আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে।’

এর আগে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৮২২টি শূন্যপদের চাহিদার বিপরীতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রায় ৪১ হাজার প্রভাষক/শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ই-রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে চাহিদা সংগ্রহ, যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ সুপারিশের সমগ্র প্রক্রিয়াটি অধিক স্বচ্ছতা ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়েছিলাম। তাতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। যার মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এতে উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।লিখিত পরীক্ষা দেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ জন। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। আর মৌখিক পরীক্ষা দেন ৮১ হাজার ২০৯ জন, তাদের মধ্যে পাস করেন ৬০ হাজার ৬৩৪ জন। তাদের মধ্য থেকে প্রায় ৪১ হাজার প্রার্থী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেন।’ 


আমার বার্তা/এমই