গেজেট জারি

অবশেষে সংশোধিত ফল পাচ্ছেন ৪৪তম বিসিএসের প্রার্থীরা

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

রিপিট ক্যাডার (একই ক্যাডারে আগে নিয়োগপ্রাপ্ত) ইস্যুতে ঝুলে থাকা ৪৪তম বিসিএসের সংশোধিত ফলাফল চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ করা হতে পারে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পিএসসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধি সংশোধনের যে প্রস্তাব পিএসসি পাঠিয়েছিল, তা অনুমোদিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সইয়ের পর বিধি সংশোধন করে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গেজেট আকারে জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এখন সংশোধিত ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে পিএসসি। বেশি কাজ না থাকায় খুব শিগগির ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলেও জানান তারা।

পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বলেন, গেজেট জারি করা হয়েছে বলে জেনেছি। পিএসসি আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট পেলে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে কবে নাগাদ ফল প্রকাশ করা হতে পারে, তা জানাতে পারেননি তিনি।

জানা যায়, ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ মে। প্রিলিতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চলতি বছরের ৩০ জুন এক হাজার ৬৯০ প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়।

পিএসসি সূত্রে জানায়, এ বিসিএসে প্রায় ৪০০ রিপিট ক্যাডার (আগের বিসিএসেও একই ক্যাডারে নিয়োগ পেয়ে কর্মরত) হয়। এতে পদগুলো শূন্য থেকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সার্বিক দিক বিবেচনায় পিএসসি বিধি সংশোধন করে রিপিট ক্যাডারের তথ্য নিয়ে পুনরায় ফল প্রকাশের উদ্যোগ নেয়।

এতে ঝুলে যায় চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া দেড় হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য। এ নিয়ে প্রার্থীরা কয়েক দফায় পিএসসির সামনে মানববন্ধন করে দ্রুত সংশোধিত ফল প্রকাশ ও চলতি বছরের মধ্যেই গেজেট জারির দাবি জানান।

>> পিএসসির সংশোধিত বিধিতে যা আছে

মূলত একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষের অংশে কিছু শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছিল পিএসসি। তাতে অনুমোদন দিয়ে গেজেট জারি করা হয়েছে।

এতে বিদ্যমান বিধির ১৭-এর শেষের অংশে সংশোধিত অংশটুকু প্রতিস্থাপিত হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিস্থাপিত অংশটুকু হলো, ‘...তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থিগণকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’


আমার বার্তা/এমই