কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যা বললেন চঞ্চল-শাওন

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১৮:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  বিনোদন ডেস্ক:

বিগত কয়েকদিনের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এ আন্দোলনে এরই মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। এ পরিস্থিতে দেশের সাধারণ মানুষ বেশ উদ্বিঘ্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে সবাই তাদের মতামত প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ এ আন্দোলনে প্রাণহানির জন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

 

অন্যদিকে কেউ আবার কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনার তাদিগ দিচ্ছেন। যাতে করে দ্রুত সুষ্ঠু সমাধানের পথ তৈরি করা যায়। এ আন্দোলন নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শোবিজের তারকাও তাদের নিজস্বত মতামত প্রকাশ করছেন। এদের তালিকায় যুক্ত হলেন শোবিজের দুই তারকা নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ অন্যতম। তাকে নিয়ে মেহের আফরোজ শাওন তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো এই নিরস্ত্র মানুষটাকে সরাসরি গুলি করা পুলিশ ভাই কি কাল রাতে ঘুমাতে পেরেছেন? উনার কি কোনো সন্তান আছে? সেই সন্তানের চোখের দিকে তাকাতে উনার কি একটুও লজ্জা লাগবে না!’ তিনি তার স্ট্যাটাসে হ্যাসট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, ‘আমি_কোটা_সংস্কারের_পক্ষে’। স্ট্যাটাসের শেষে শাওন আরও লেখেন, ‘দয়া করে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তাদের পরিবার নিয়ে কোনো প্রকার বাজে মন্তব্য করবেন না’।

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকা থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কয়দিন নিউজগুলো দেখে হতবাক হয়েছি, হয়েছি শোকাহত! সমাধানের অন্য কোন পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হলো?’

চঞ্চল প্রশ্ন করে আরও লেখেন, ‘বুকের রক্ত না ঝড়িয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেতো না? যা ঘটে গেলো এটা যেমন মোটেও প্রত্যাশিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বর্হিভূত! আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝি না! শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুণ তাজা যে প্রাণ গুলো অকালে ঝড়ে গেল,তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো, তার আর্তনাদ কি কোনো জনমে শেষ হবে? হায়রে দুর্ভাগা দেশ!’

সব শেষে চঞ্চল এ সমস্য দ্রুত নিরসন হোক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে লেখেন, ‘নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক!’

 

আমার বার্তা/এমই