শিশির মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো কাব্যাঙ্গন আয়োজিত আবৃত্তি সন্ধ্যা

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ

  কলকাতা প্রতিনিধি:

যখন কলকাতা শহরের দিকে দিকে অভয়ার মৃত্যুর বিচার চাইছে জনগণ। তখনই শিশির মঞ্চে আয়োজন হয়েছিল রবীন্দ্র-নজরুল আবৃত্তি সন্ধ্যা। কাব্যাঙ্গন সংস্থার উদ্যোগে গত সোমবার সন্ধ্যায় আবৃত্তির সঙ্গে উপস্থাপিত হল একক ও সমবেত নৃত্য, কবিতা ও গান। কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রভাতী ’হে সর্বশক্তিমান’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ভারত তীর্থ’ কবিতা সমবেত আবৃ্ত্তি দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন সংস্থার কর্ণধার সোমা কাঞ্জিলাল। শিশু নৃত্যশিল্পী হৈমন্তী বসু আগমনী নৃত্য নজর কাড়ে শ্রোতাদের। কবিতার কোলাজ ও গুণিজনদের সম্মাননা প্রদানে অনুষ্ঠান বেশ মোহময়ী রূপ নেয়। সঙ্গীত শিল্পী রাজর্ষি রায়, ডঃ দীপা দাস, কবি অনির্বান ঘোষ, বাচিক শিল্পী বিশ্বজিৎ মণ্ডল, মুন গুহ, বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়, দিলীপ সেনগুপ্ত প্রমুখ গুণিজনদের সম্মাননা দেওয়া হয় সংস্থার তরফে। কবিতার কোলাজ ‘দাও ফিরে সে ছেলেবেলা’ প্রশংসিত হয় দর্শকদের কাছে।

অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয় সাংবাদিক বিপ্লব দাশকে। কাব্যাঙ্গনের কর্ণধার সোমা কাঞ্জিলাল ও জয়ন্ত কাঞ্জিলালের আমন্ত্রণে বেশ কয়েক বছর ধরে এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বিপ্লব দাশ। উত্তরীয়, ব্যাচ ও স্মারক দিয়ে বরণ করা তাঁকে। এরপর বক্তব্যে সাংবাদিক বিপ্লববাবু কলকাতা শহরের যে অভয়ার পৈশাচিক মৃত্যুর নিন্দা করে আগামী প্রজন্মকে সঠিক পথে চলার আহ্বান জানান। বাঙালিরা মেরুদন্ড সোজা রেখে যেন যে কোন অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেন সেই বার্তা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে উপস্থিত অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের নিজেদের মতো বড় হওয়ার পরামর্শ দেন। বিপ্লববাবু বলেন, “সন্তানদের প্রতিযোগীতার মুখে ঠেলে দেবেন না। আপনারা বাবা-মায়েরা আপনাদের কিছু  না-পাওয়া, আপনার সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। ওদের নিজেদের মতো বড় হতে দিন। তবেই গড়ে উঠবে সুস্থা সমাজ।

মুঠোফোনের যুগে যখন হারিয়ে যাচ্ছে ছোটবেলা তখন কচিকাচাদের নিয়ে একক আবৃত্তি, সমবেত আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীত ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কাব্যাঙ্গন নজির গড়ল। বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই কাব্যাঙ্গন এই অনুষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে আসছে। আট থেকে আশি অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই আবৃত্তি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সংস্থার কর্ণধার সোমা কাঞ্জিলাল। আট থেকে আশি প্রায় কয়েকশো ছাত্রছাত্রী রয়েছে সংস্থার। দেখা গেল ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা রাখতে তাদের অভিভাবকরা অনেকে অংশগ্রহণ করেছেন অনুষ্ঠানে। এই উদ্যোগ সত্যিই সাধুবাদ না জানিয়ে পারা যায় না। 

 

আমার বার্তা/এমই