যদি মরে যাই কোনো আফসোস থাকবে না: চমক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৫, ১৭:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

এক বছর আগে অনেকটা আলোড়ন ফেলেই বিয়ে করেছিলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। যদিও বিয়ের পর স্বামীর অতীত নিয়ে নানা প্রশ্ন-সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।
তবে সেসবকে পাত্তা না দিয়ে একছাদের নিচে এক বছর কাটিয়ে ফেলেছেন এই দম্পতি। স্বামীর প্রতি চমকের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতারও যেন কমতি নেই।
ফলে নিজেদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে স্বামী আজমানকে নিয়ে নিজের মনের অভিব্যক্তিই প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে উঠে এসেছে তাদের ভালোবাসার নানা মুহূর্তের গল্প।
গত ২০ জুন ছিলো চমকের বিয়ের প্রথম বর্ষপূর্তী। এদিন স্বামী আজমানের সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘প্রিয় স্বামী, বর, কান্ত, অধিপতি, তোমাকে আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমাদের টোনাটুনির সংসার কিভাবে এক বছর পার করে ফেললো টেরই পেলাম না। আগে আমি গোটা পৃথিবী জয় করতে চাইতাম, চাইতাম আনতে ক্রান্তি। এখন শুধু বনলতা হয়ে খুঁজি দু’দন্ড শান্তি। তোমার বুকে তোমার চোখে, ডুব দিয়ে আমি বুঝেছি, আমি তো গোটা পৃথিবী জয় করেই ফেলেছি।’
চমক আরও লেখেন, ‘এই বড় ছন্নছাড়া প্রাণহীন পৃথিবীতে তুমি আমার অনেক মায়ার একান্ত পৃথিবী। আমি আমার সমস্ত ভালোবাসায় জয় করেছি তোমায়। এই ভুলে ভরা মিথ্যে আশার শহরে, তুমি আমার এক রঙিন স্বপ্ন। ক্লান্ত, ক্ষত-বিক্ষত পোর্সেলিনের শহরে, তুমি আমার রঙ-বেরঙের সংসার। প্রিয়, আমি তোমাকে ছায়াপথ সমান ভালোবাসতে চাই। আচ্ছা, ছায়াপথের দৈর্ঘ্য মাপেছে কেউ?’
এখানেই শেষ হয়নি প্রেমিকা হৃদয়ের আর্তি! এরপর নিজের লেখা উপহার দিয়ে স্বামীকে নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন অভিনেত্রী। যেখানে চমক নিজের লেখাটি পাঠ করে গেছেন, আর পর্দায় ভেসে উঠেছে তাদের নানা মুহূর্ত।
ভিডিওতে চমককে বলতে শোনা যায়, ‘তোমার সঙ্গে একটা বছর কখন আঙুলের ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে গেলো টেরই পেলাম না। মনে হচ্ছে এইতো গত রাতের কথা, সাদা রঙের শার্ট পরে কনকনে শীতে তুমি হাতভর্তি গোলাপ নিয়ে ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছ। তুমি মুখ ফুটে না বললেও জানিয়ে দিচ্ছ কতোটা ভালোবাসো আমায়। তোমার চোখে কী আছে জানি না, তবে পৃথিবীতে কোন চোখে আমার জন্য তীব্র ভালোবাসা দেখেনি।’
এই এক বছর এক মাসের মতো কেটে গেছে উল্লেখ করে চমক বললেন, ‘পৃথিবীর খুব সুন্দর কয়েকটা দৃশ্যের মধ্যে একটা হচ্ছে- প্রেমিকার জন্য প্রেমিকের ভালোবাসায় সিক্ত ছলছল চোখ। তোমার ওই চোখে তাকিয়ে বাকী জীবনটা আমি দিব্যি কাটিয়ে দিতে পারবো। একটা বছরকে মনে হচ্ছে একটা সুন্দর দিন কাটলো মাত্র। মনে হচ্ছে, এই লম্বা জীবনটা একটা এক মাসের ভ্যাকেশনের মতোই কেটে যাবে।’
স্বামীর সঙ্গে সাদা লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে হাত ধরাধরি করে হাটতে হাটতে চমক পাঠ করছেন, ‘এখন যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে গন্তব্য নাকি রাস্তা? আমি বলবো ‘সঙ্গী’। কোথায় যাবে? কোথা থেকে এসেছে? কতোটা দূরে যাবে? এ সবকিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী জানো? কে তোমার সঙ্গে আছে।’
সবশেষ স্বামীকে উদ্দেশ্য করে চমক বলছেন, ‘জানো? তোমার সঙ্গে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত এক একটা উৎসবের মতো। বিকেলবেলা দু’কাপ চা হাতে নিয়ে বারান্দা দিয়ে সূর্যাস্ত দেখাটাকে মনে হয় প্যারিসের সুন্দর একটা বিকেল উদযাপনের মতো। পৃথিবীর সবচেয়ে দর্শনীয় মনোহর জায়গা হচ্ছে প্রেমিকের প্রশস্ত কাঁধ। আমার ইদানিং মনে হয়, আমি যদি মরেও যাই কোনো আফসোস থাকবে না। কারণ জীবনে যে ভালোবাসা আশা করেছিলাম তার চেয়ে হাজারগুণ ভালোবাসা এই এক বছরে পেয়ে গেছি।’
আমার বার্তা/এমই